প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্কের আধুনিক পরিষেবা গ্রামীণ সমবায় সমিতিগুলির মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল প্রশাসন।
বাড়ির কাছে ব্যাঙ্কের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অন্তত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল কয়েক বছর আগে। এমনকী, প্রতিটি পরিবারকে ব্যাঙ্কের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় জিরো ব্যাল্যান্স অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬০টিতে এখনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা নেই। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের টাকা জমা দিতে বা তুলতে ছুটতে হয় দূরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে।
সমবায় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা নেই, এমন এলাকায় সমবায় সমিতিগুলিতে বাসিন্দাদের ব্যাঙ্ক পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়তে বর্তমানে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন জেলার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে ওই সব স্থানে তাদের ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ (গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র) খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক-ঘাটাল, বলাগেড়িয়া, মুগবেড়িয়া ও বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালু করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই-১ পঞ্চায়েতের জামিত্যা, খারুই-২ পঞ্চায়েতের হুড়িনান, ধলহরা পঞ্চায়েতের ধলহরা-খণ্ডগ্রাম, বল্লুক-২ পঞ্চায়েতের রামতারকহাট ও রঘুনাথপুর-১ পঞ্চায়েতের ত্রিনয়নী সমবায় সমিতি। পরে ধাপে ধাপে জেলার অন্য গ্রামীণ সমবায় সমিতিতেও ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হবে।
সমবায় সমিতির কর্তাদের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা না থাকলেও ওই সব এলাকায় সমবায় সমিতি রয়েছে। তাই সেগুলির মাধ্যমেই এবার ব্যাঙ্কের আধুনিক সব পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তমলুক, হলদিয়া মহকুমার ৫০টি সমবায় সমিতিতে ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ (গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র) খোলা হচ্ছে। ওই কেন্দ্রগুলিতে কোর ব্যাঙ্কিং পদ্ধতিতে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, টাকা জমা দেওয়া-তোলা, ব্যাঙ্ক চেক জমা দেওয়ার পর দ্রুত টাকা পাওয়া, আরটিজিএস পদ্ধতিতে অন্যত্র টাকা পাঠানো এবং দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে। এছাড়া, গ্রাহকদের সমবায় ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ডও দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এতদিন কেবল সমিতিগুলির সদস্যদের মধ্যেই ঋণ দেওয়া ও টাকা জমা নেওয়ায় সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপাল মাইতি শনিবার বলেন, ‘‘চলতি বছরেই কয়েকটি সমবায় সমিতিতে ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালু করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়তে সমিতিগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। সমিতির কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। এতে বাসিন্দাদের ব্যাঙ্কের পরিষেবা পেতে সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy