Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
সচেতনতার মিশ্র ছবি, সক্রিয় পুলিশ
Containment Zones

রেলশহরে তালিকা বদলে উঠছে প্রশ্ন

প্রশাসন আগেই জানিয়েছিল, রেলশহরে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ১৩। তবে এ দিন জানানো হয় তা কমে হয়েছে আট।

ঘাটাল শহরের ১৬ ওয়ার্ডের গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় দোকান বন্ধ করাচ্ছে পুলিশ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

ঘাটাল শহরের ১৬ ওয়ার্ডের গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় দোকান বন্ধ করাচ্ছে পুলিশ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল ও খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০১:২৯
Share: Save:

কোথাও ফিরল সচেতনতা। কোথাও পরিস্থিতি রয়ে গেল সেই তিমিরেই। নতুন করে লকডাউন শুরুর দ্বিতীয় দিনে, শুক্রবার এমনই ছবি ধরা পড়ল খড়্গপুর ও ঘাটাল মহকুমার গণ্ডিবদ্ধ এলাকাগুলিতে। সক্রিয় হল পুলিশ-প্রশাসন। তবে একইসঙ্গে রেলশহরে তালিকা পরিবর্তন নিয়ে উঠল প্রশ্নও।

প্রশাসন আগেই জানিয়েছিল, রেলশহরে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ১৩। তবে এ দিন জানানো হয় তা কমে হয়েছে আট। স্থানীয় পরিস্থিতি বিচার করে তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন করে প্রশাসন। পরিধি বাড়া বা কমার ফলে সংখ্যার পরিবর্তন হয়। তবে বির্তক শুরু হয়েছে ওল্ড সেটলমেন্টের এলাকা গণ্ডিবদ্ধ তালিকা থেকে বাদ যাওয়ায়। গত ৪ জুলাই ওই এলাকায় দুই মহিলা করোনা পজ়িটিভ হয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে ওই এলাকা গণ্ডিবদ্ধ হিসাবে চিহ্নিতও হয়েছিল। কিন্তু এ দিন দেখা যায় পরিমার্জিত তালিকায় ওই এলাকা নেই। বিরোধীদের অভিযোগ, যেহেতু ওল্ড সেটলমেন্টের ওই গণ্ডিবদ্ধ এলাকার একশো মিটারের মধ্যেই তৃণমূলের বিধায়ক প্রদীপ সরকারের কার্যালয় তাই এমন ঘটনা ঘটেছে।

বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যেহেতু ওল্ড সেটলমেন্টের ওই এলাকা গণ্ডিবদ্ধ হলে বিধায়ক বা তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে যেতে পারবেন না তাই তালিকা থেকে ওই এলাকা বাদ দেওয়া হল।’’ মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “এই তালিকা ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরা করেছেন।’’ প্রদীপ বলেন, “যা করার প্রশাসন করছে।’’

রেলশহরের যেখানে গণ্ডিবদ্ধ চিহ্নিত হয়েছে সেখানেও লকডাউনে ঢিলেঢালা ভাব দেখা দিচ্ছে। একাংশ শহরবাসীর ওই গণ্ডিবদ্ধ এলাকাতে অসচেতন হয়েই মাস্ক ছাড়া ঘুরছে। এ দিন মাঠে নেমেছিলেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ, এসডিপিও সুকোমল ঘোষ, আইসি রাজা মুখোপাধ্যায়। ইন্দার নিউটাউনে এ দিন গণ্ডিবদ্ধ করা হয়েছে একটি আবাসন সংলগ্ন এলাকা। তবে শহরের পাঁচবেড়িয়া এলাকায় একইভাবে অসচেতনতার ছবি ধরা পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার লকডাউনে প্রশাসনের যে পরিষেবা প্রদানের নিয়ম তা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাসিন্দাদের। কুমোরপাড়ার গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাসিন্দা অশোককুমার মাইতি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কীভাবে পাব তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। এলাকাটি জীবাণুমুক্ত করা হয়নি।” মহকুমাশাসক বৈভব বলেন, “লকডাউন যাতে কঠোরভাবে পালিত পুলিশকে দেখতে বলব। তবে কারও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রয়োজন হলে আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করবেন।”

দ্বিতীয় দিনে কিছুটা হলেও ছবিটা বদলেছে ঘাটালে। বাঁশের ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। মাইক প্রচার চালায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছিল, তাঁদের এলাকা যে গণ্ডিবদ্ধ হয়েছে তা জানতেন না গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা। সেই ছবি কিছুটা বদলেছে এ দিন। দাসপুরের সাতপোতার দাস পাড়া, কুলটিকরি পাত্র পাড়া, দক্ষিণবাড় গ্রামের জানা পাড়াসহ প্রভৃতি এলাকায় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। তবে দাসপুরের মামুদপুরে দূরত্ব বিধি ভেঙে মানুষ ঘোরাফেরা করেছে। ঘাটালের এসডিপিও অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, “গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় কড়া লকডাউন চলছে। সেখানে পুলিশি টহল রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Containment Zones Kharagpur Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE