প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার আগেই মেদিনীপুর হয়ে উঠেছে ‘মমতাময়’। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত জোড় করা ছবিতে ছয়লাপ মেদিনীপুর। মমতার ওই ছবিকেই কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি। তাদের কটাক্ষ, ছবি প্রতীকী। আগামী দিনে বিজেপির কাছে তৃণমূল হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকবে। তৃণমূলের ব্যাখ্যা, নেত্রী হাত জোড় করেছেন মানুষের কাছে। বিজেপির কাছে নয়।
সপ্তাহ খানেক আগেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বার্তা দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আসার আগে মেদিনীপুরকে ‘মমতাময়’ করতে হবে। আজ, সোমবার মেদিনীপুরে আসছেন মোদী। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে শহরকে দলনেত্রীর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে মুড়ে ফেলেছেন তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। বেশিরইভাগেই দেখা যাচ্ছে তৃণমূলনেত্রী হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তৃণমূলনেত্রীর ছবির পাশে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার, ব্যানার দিয়েছে বিজেপিও। যদিও সেগুলিতে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর হাত জোড় করা ছবি বেশি নেই। বিজেপি নেতা রাহুল সিংহের কটাক্ষ, ‘‘আগামী দিনে এটাই হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী যাবেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থেকে সেলাম ঠুকবেন। এটাই এই রাজ্যের ভবিতব্য। এর ট্রেলারটা আগেই তৃণমূল দেখিয়ে দিচ্ছে। এর জন্য ওদের ধন্যবাদ।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলছেন, ‘‘ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে শহরের মুখ আড়াল করে দিয়েছে দিদির ছবি লাগিয়ে। ওদের (তৃণমূল) ন্যূনতম ধারণা থাকা উচিত ছিল যে, রাস্তার সামনের অংশ দেখা না গেলে ওগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেবে এসপিজি।” বিজেপির কটাক্ষের জবাব দিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘তৃণমূল বরাবর কৃষকদের পক্ষে। তাই কৃষক বিরোধী প্রধানমন্ত্রীকে তৃণমূল কখনও স্বাগত জানাবে না।’’ তা হলে কেন এমন ছবি? অজিতবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য। তিনি মানুষের কাছে হাত জোড় করে রয়েছেন। বিজেপির কাছে নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy