হলদিয়া বন্দরে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
করোনা জট কাটিয়ে অবশেষে কাজ শুরু হল হলদিয়া বন্দরে। সোমবার বন্দর পরিদর্শনে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, হলদিয়ার পুরপ্রধান শ্যামলকুমার আদক এবং বন্দর আধিকারিক অভয় মহাপাত্র। তাঁদের মধ্যস্থতায় কাজে যোগ দিতে রাজি হন শ্রমিকেরা।
দিল্লির নিজামুদ্দিন ফেরত এক যুবক করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই হলদিয়া বন্দরে ছন্দপতন হয়েছিল। বন্দরে কর্মরত এক বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবক| কাজের সূত্রে তিনি বন্দরে ঘোরাফেরাও করেছেন| ফলে তাঁর কোভিড ১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরই আতঙ্কে গত শুক্রবার থেকে কাজ বন্ধ করে দেন বন্দরের শ্রমিকরা। এলপিজি, পেট্রোলিয়াম, কয়লার মতো অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে যায়। গোটা বন্দরকে জীবাণুমুক্ত করে সেই ছবি পাঠানো হয় শ্রমিকদের। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক কাটিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার ভরসা পাচ্ছিলেন না শ্রমিকেরা।
এ দিন বন্দরে এসে জেলাশাসক, হলদিয়ার পুরপ্রধান ও বন্দরের আধিকারিক শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলেন। গোটা বন্দরকে উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে, এই আশ্বাস দেওয়ার পরে কাজে যোগ দিতে রাজি হন শ্রমিকরা।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর দু’টোর পরে আংশিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। কন্টেনার লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে। বন্দরের আধিকারিক অভয় মহাপাত্র জানান, প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় শ্রমিকদের আতঙ্ক কিছুটা কেটেছে। আজ, মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
বন্দরের শ্রমিক নেতা তথা হলদিয়ার পুরপ্রধান শ্যামল বলেন, “সোমবার থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে এবং প্রত্যেক শ্রমিককে গ্লাভস ও মাস্ক দেওয়া হবে বলে বন্দরের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের যাতায়াতের বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে।”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy