প্রতীকী ছবি
হাসপাতালে প্রতিদিন আসছেন হাজারো রোগী। সঙ্গে আসছেন তাঁদের পরিজন। বিনা বাধাতেই ঘুরছেন হাসপাতাল চত্বরে। তাঁদের কেউ যদি করোন সংক্রমিত হন, তা হলে তা থেকে আক্রান্ত হতে পারেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। বিষয়টি মাথায় রেখে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন করে অন্তত ১৭টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসছে করোনা টেস্টিং কিয়স্ক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তমলুক জেলা হাসপাতাল, হলদিয়া, এগরা মহাকুমা হাসপাতাল-সহ মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে বসবে ওই কিয়স্ক। এ জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ।
কিন্তু কি এই করোনা টেস্টিং কিয়স্ক?
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ ধরনের কিয়স্কের একদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকেন। অন্যদিকে রোগী এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা থাকেন। রোগীদের গলা, নাক এবং মুখ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং তা সংরক্ষণ করে ভাইরাল ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কারও রিপোর্ট করোনা পজ়িটিভ এলে ওই ব্যক্তিকে সহজে চিহ্নিত যেমন করা যাবে, তেমনই স্বাস্থ্য কর্মীদেরও সুরক্ষা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে এ ধরনের কিয়স্ক মহিষাদলের বাসুলিয়া, তমলুকের জানুবসান, ভগবানপুর, পটাশপুর এলাকার গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালু হয়েছে। তবে সেই কেন্দ্রগুলিতে নির্দিষ্ট লোকেদেরই নমুনা সংগ্রহ করা হত। টেস্টিং কিয়স্কগুলিতে মূলত হাসপাতালে আসা সকলের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য একটি কিয়স্ক বসেছে। আগামী মঙ্গলবার নতুন আরও একটি কিয়স্ক থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’’
ব্যয়বহুল ওই কিয়স্ক বানানোর জন্য হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ (এইচডিএ) অর্থ বরাদ্দ করেছে বলে খবর। এইচডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পার্রীকর হরিলশঙ্কর বলেন, ‘‘আধুনিক কিয়স্ক বসাতে চাইছিল জেলা প্রশাসন। তাদের কথামত ১৭টি কিয়স্ক দেবেন হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ওইসব কিয়স্ক চালু হয়ে যাবে।’’
এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘লালারস সংগ্রহের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঝুঁকি থাকে। তাই বেশ কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগতভাবে কিয়স্ক খুলে নমুনা সংগ্রহ করছেন। তবে আগামী দিনে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি আরও অধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞতা জানাই। এতে স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy