চন্দ্রকোনা রোডের স্টেশনপাড়ার একাংশ এখন গণ্ডিবদ্ধ এলাকা। নিজস্ব চিত্র
দুর্ঘটনায় মৃত চন্দ্রকোনা রোডের যুবক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন সূত্রের খবর, কলকাতার যে বেসরকারি হাসপাতালে ওই যুবক ভর্তি ছিলেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ মারফত করোনা পজ়িটিভের খবর মেলে। এরপরই চন্দ্রকোনা রোডের স্টেশনপাড়া এলাকার একাংশ কন্টেনমেন্ট জ়োন (গণ্ডিবদ্ধ এলাকা) হিসাবে ঘোষণা করে প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, কলকাতার ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানান, মৃতের মাথায় আঘাত ছিল। সন্দেহ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি জানান। কলকাতার সংশ্লিষ্ট থানা থেকে খবর পৌঁছয় চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ বিট হাউজে। এরপরই শুরু হয় তৎপরতা। পুলিশ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয় এলাকা। মৃতের বাবা-মাকে গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়।
স্টেশনপাড়া বাসিন্দা যুব তৃণমূলের কর্মী বছর আঠাশের এক যুবক কয়েকদিন আগেই দুর্ঘটনায় জখম হন। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত শুক্রবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও মৃতদেহ তাঁর বাড়ির লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধছিল পরিজনদের মধ্যে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, কলকাতার থানা থেকে যোগাযোগ করার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও ব্লক বা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কেউ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুধু বলছেন, ‘‘কোনও রিপোর্ট পাইনি। তবে খবর শুনছি।’’
স্টেশনপাড়া এলাকাকে নিয়ে চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা বেড়ে হল দুই।এই ব্লকের গুইয়াদহ এলাকার গোবিন্দচক গ্রামকে আগেই গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করে ব্যারিকেড করে ঘিরে দিয়েছিল পুলিশ। এই গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রাথমিক শিক্ষক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই তিনি করোনা সংক্রমণের শিকার হন। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর করোনা পজ়িটিভের খবর আসতেই গোবিন্দচক গ্রামকে গন্ডিবদ্ধ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy