প্রতীকী ছবি।
করোনা যুদ্ধে জিতে ঘরে ফিরলেন সাত জন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তমলুকের তিন জন এবং হলদিয়ার চার ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। করোনা আক্রান্ত তমলুকের পান ব্যবসায়ী বৃদ্ধের পরিবারের দুই সদস্য ও তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত এক গ্রামীণ চিকিৎসক ভর্তি ছিলেন মেচগ্রাম করোনা হাসপাতালে। গত শুক্রবার তাঁদের লালারসের নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁদের তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলেও প্রথমে দিন কয়েক মেচেদা বাজারে একটি সরকারি অতিথিশালায় কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছিল। সোমবার তিন জনেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, হলদিয়ারও তিন পুরুষ এবং এক মহিলা-সহ চারজন বাড়ি ফিরেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সাত জনই আপাতত নিজেদের বাড়িতে থাকবেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘পাঁশকুড়া করোনা হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠা তমলুকের তিন বাসিন্দা বাড়িতে ফিরেছেন এবং হলদিয়ার বাসিন্দারাও সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জেলা প্রশাসনিক অফিসে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয়েছে। সেখানে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ টাস্ক ফোর্সের অন্য সদস্যেরা ছিলেন। বৈঠকে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে যে দুটি গ্রাম ‘সিল’ করা হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের বাইরে যাতায়াত এবং বাইরের লোকজনের সেখানে বন্ধ করতে নজরদারি আরও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তৈরি হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর (৮৩৭১৮৯৫৬১৯)।
এছাড়া, এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ওই এলাকায় যে সব বাসিন্দা হোম আইসোলেশনে রয়েছে তাঁদের সরকারিভাবে মাস্ক দেওয়া হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোয় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘হোম আইসোলেশনে থাকা বাসিন্দাদের প্রত্যেকেরই আগামী বুধবার শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই পরীক্ষা করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy