প্রতীকী চিত্র।
করোনা সতর্কতায় দেশজুড়ে লকডাউন চালু হয়েছে গত বুধবার থেকে। জনবহুল এলাকায় ভিড় এড়াতে জেলার বাজারগুলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রেখে চাল, আলু, পেঁয়াজ, আনাজ, মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবার সামগ্রীর দোকান খোলা থাকছে। ভিড় এড়াতে বিভিন্ন এলাকায় হাট বন্ধ করা হয়েছে। এমনকী গত মঙ্গলবার সকালে নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট চলার সময় পুলিশ এসে তা বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু শুক্রবার নন্দকুমার বাজারে হাট বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় বাজার কমিটির আগাম ঘোষণা সত্ত্বেও এ দিন সকাল থেকে ওই বাজারে হাট বসে বলে অভিযোগ। আলু, পেঁয়াজ, আনাজ, মাছের দোকান বসে নন্দকুমারের বাজারের মাঝ দিয়ে যাওয়া হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে। হাটে জিনিস কেনার জন্য বাসিন্দাদের ভিড়ও হয় অভিযোগ। সকাল ১০টা পর্যন্ত হাট চলে। বাসিন্দারা জানান, লকডাউনের আওতা থেকে চাল, আলু, পেঁয়াজ, আনাজ, মাছ, মাংস, ডিম ও মুদির দোকান বাদ থাকায় বাজারে ওইসব দোকান খোলা থাকে। ফলে বাজারে এসে তাঁরা সে সব কিনছেন। ভিড় হওয়ার আশঙ্কা থাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজার কমিটির তরফে মাইক প্রচার করে শুক্রবারের হাট বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরেও এ দিন সকালে বাজারে রাস্তার দু’পাশে আনাজ, মাছের দোকান বসে যায়। ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দারা এসে কেনাকাটা করতে থাকে। ফলে অনেক মানুষের ভিড় জমে যায়।
স্থানীয় মানুষের একাংশের অভিযোগ, এদিন সকালে হাট বসা বন্ধ করতে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই বাজারে প্রচুর লোকজনের জমায়েত হয়। যা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
নন্দকুমারের বিডিও মহম্মদ আবু তায়েব বলেন, ‘‘আনাজ, মাছ, মাংস, ডিম-সহ খাবারের সামগ্রী ও ওষুধ দোকান খোলা রাখার সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে। হাট-বাজারে ওই সমস্ত সামগ্রীর দোকান বাদে অন্য দোকান রাখতে বলা হয়েছে। তবে ভিড় এড়াতে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy