Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
LOCKDOWN

সংযমে সুযোগ, বিধি ভেঙে অনেকেই পথে

তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে পুলিশ?

 দাওয়াই: শুয়ে পড়ে ক্ষমা ভিক্ষা। অকারণে বাইরে বেরনোর শাস্তি বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

দাওয়াই: শুয়ে পড়ে ক্ষমা ভিক্ষা। অকারণে বাইরে বেরনোর শাস্তি বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০২:০৯
Share: Save:

করোনা রুখতে মানুষকে গৃহবন্দি করাই একমাত্র উপায়। তাই দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। লকডাউনের প্রথম দু’দিনে লাঠি হাতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। এতে দ্রুত গৃহবন্দি হন মানুষজন। তবে পুলিশকে সংযত হতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই খড়্গপুরে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ল। সেই সুযোগে বিধি ভেঙে অকারণে রাস্তায় নামলেন সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভিড় জমেছিল শহরের সর্বত্র। বাজারে জিনিস কেনাকাটায় গা ঘেঁষে দাঁড়াতেও দেখা গিয়েছে ক্রেতাদের। পাড়ায় জমেছে আড্ডা। সোমবার বিকেল থেকে রাজ্যে লকডাউন শুরু হওয়ার পরেও দেখা গিয়েছিল এই ছবি। তবে মানুষকে ঘরে ঢোকাতে লাঠি হাতে পথে নামতে হয়েছিল পুলিশকে। এমনকী মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত লকডাউন অমান্য করে অকারণে বাইরে ঘুরতে থাকা মানুষকে লাঠি হাতেও তাড়া করতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছ’জনকে। বুধবার পুলিশের ভয়ে বাড়ি থেকে প্রয়োজন ছাড়া বার হয়নি শহরবাসী। বাজার-দোকানে ভিড় থাকলেও কীভাবে তার মোকাবিলা করা যায় তার পরিকল্পনাতে দেখা গিয়েছিল প্রশাসনকে। তবে এদিন বদলে গিয়েছে মঙ্গলবার ও বুধবারের সেই ছবি। ফের করোনার সতর্কতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পথে-ঘাটে জটলা করেছে মানুষ। মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “আমরা চারটি গাড়িতে ফের মানুষকে সচেতন করতে অভিযানে নামব।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাঁকা রাস্তায় টহল দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। বিকেল হতেই ফের পাড়ার চা-দোকান, ক্লাবঘরের সামনে দেখা গিয়েছে জটলা। সুভাষপল্লির মিতালি ঘোষ বলেন, “আমার বাড়ির আশেপাশেই তো দেখছি একটি দোকানের সামনে কয়েকজন যুবক সারাদিন আড্ডা দিচ্ছে। কোথায় পুলিশ? এমন লকডাউন করে কী লাভ?” শহরের ইন্দা থেকে গোলবাজার, খরিদা, মালঞ্চ রোড, ঝাপেটাপুর, কৌশল্যায় একই অসচেতনতা দেখা গিয়েছে। খরিদার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী বিজন দত্ত বলেন, “বহু চা, পানের দোকান খোলা। যুবকেরা সেখানেই আড্ডা দিচ্ছে।” তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে পুলিশ? অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা এখনও মানুষকে সচেতন করে চলেছি। এর পরেও মানুষ লকডাউনের নিয়ম না মানলে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lockdown Novel Coronavirus Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE