ঘরে ফেরার আশায়। দেশপ্রাণ ব্লকের একটি ইটভাটায়। নিজস্ব চিত্র
ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে লক ডাউনে আটকে রয়েছেন শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক। যাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এঁরা কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লক এবং খেজুরি-১ ব্লকের মোহাটি এলাকায় আটকে রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আতঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে ওই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গৃহবন্দি রাখার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার লোকজন।
লক ডাউন ঘোষণার পর শ’য়ে শ’য়ে পরিযায়ী শ্রমিক আটকে রয়েছেন গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে। এঁরা মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে খেজুরির মোহাটি গ্রামে একাধিক ইটভাটায় প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। স্থানীয়দের চাপে ওই ভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকেরা সেখানেই থেকে গিয়েছেন। ফলে করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। ওই শ্রমিকেরা স্থানীয় বাজার-হাটেও কেনাকাটা করছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যেখানে জমায়েত না করতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে, সেখানে একসঙ্গে একটি ছোট জায়গায় এত শ্রমিককে কেন রাখা হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। একই পরিস্থিতি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের একাধিক ইটভাটায়। ইতিমধ্যে সেখানকার শ্রমিকদের পশ্চিম মেদিনীপুরে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি বলে দাবি ইটভাটা মালিকের। ওই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের
ভাটার পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়টি জানার পরে খেজুরি-১ এর বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘মোহাটিতে ইটভাটার কাজ আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে শ্রমিকেরা আপাতত কী রকম অবস্থায় রয়েছেন তা পঞ্চায়েতের লোকেদের পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’ দেশপ্রাণ ব্লক প্রশাসনও এলাকার ভাটা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy