Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Mondarmoni

লকডাউনে সৈকতে নির্মাণ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দারমণি, সিলামপুর, দহ সোনামুই মৌজায় সমুদ্রের একেবারে গা ঘেঁষে হোটেল তৈরি হচ্ছে।

সৈকত লাগোয়া হোটেলে নির্মাণকার্য। নিজস্ব চিত্র

সৈকত লাগোয়া হোটেলে নির্মাণকার্য। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্দারমণি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০৩:১৮
Share: Save:

নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লকডাউনেও মন্দারমণিতে সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে হোটেল নির্মাণ অব্যাহত। প্রশাসনিক মদতে কেন্দ্র সরকারের কোস্টাল রেগুলেরটরি জোন (সিআরজেড) আইন না মেনে নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ সমুদ্র বিজ্ঞানী এবং হোটেল মালিকদের একাংশের। এর ফলে আগামী দিনে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।

দিঘার বহু পরে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ মন্দারমণির। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে কয়েক বছরের মধ্যেই মন্দারমণি পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠে। বাড়তে থাকে হোটেল, লজ। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সিআরজেড আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দারমণি, সিলামপুর, দহ সোনামুই মৌজায় সমুদ্রের একেবারে গা ঘেঁষে হোটেল তৈরি হচ্ছে। গত মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই সব মৌজায় হোটেল নির্মাণের কাজ জোরকদমে শুরু হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

মন্দারমণি হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সন্দীপন বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সৈকতের গা ঘেঁষে একের পর এক হোটেল গজিয়ে উঠছে। নীরব দর্শক হয়ে সব দেখতে হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, এমন একাধিক হোটেল চালুও হয়ে গিয়েছে।’’ যদিও ওইসব হোটেল কিংবা লজ চালুর জন্য কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয় কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের। পঞ্চায়েত প্রধান স্বপন দাস বলেন, ‘‘ওইসব এলাকায় যে কোনও ধরনের নির্মাণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে বারবার সতর্ক করা হয়েছে সকলকে।’’

প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে সৈকতের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করে এভাবে নির্মাণ হলেও প্রশাসনের তরফে তা আটকানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের দাবি, গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে উপকূল এলাকায় সিআরজেড আইন মেনে সব রকমের নির্মাণ কাজ বন্ধ। অথচ এ রাজ্যে মন্দারমণিতে সেই বেনিয়ম চলছে। সমুদ্র বিজ্ঞানী আনন্দ দেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে মন্দারমণিতে বেআইনিভাবে উপকূল নষ্ট করে নির্মাণ কাজ চলছে। প্রশাসন কোনওভাবেই সেই সব নির্মাণ আটকাতে পারছে না। রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কর্তারা বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে যদি সদর্থক ভূমিকা না নেন, তবে ভবিষ্যতে সমুদ্র জনবসতি এলাকায় ঢুকে পড়বে।’’

বেআইনি নির্মাণ নিয়ে রামনগর-২ এর বিডিও অর্ঘ্য ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুতর। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mandarmoni
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE