আট বছর পর পিংবনিতে দলীয় কার্যালয় খুলল সিপিএম। অঙ্কন তিয়াশা দাস।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারেনি। অথচ আট বছর পর সেই পিংবনিতে দলীয় কার্যালয় খুলল সিপিএম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কার্যালয় খুলে সিপিএমের দাবি, মানুষ তৃণমূল এবং বিজেপির কাজে বিরক্ত। তাই তাদের উৎসাহেই খোলা হয়েছে কার্যালয়। তৃণমূলের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক রীতিনীততে তারা বাধা দেবে না। বিজেপির কটাক্ষ, পার্টি অফিস খুলে লাভ হবে তো? প্রসঙ্গত, গতবার গড়বেতা ২ ব্লকের পিংবনি গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ আধিপত্য থাকলেও এবার সেখানে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। ১০টি আসনবিশিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার ৬টি আসনে জিতে বোর্ড গড়েছে তারা। বাকি আসনগুলি পেয়েছে তৃণমূল। শুধু পিংবনি নয়। আশেপাশের পাথরপাড়া, জিরাপাড়াতেই পঞ্চায়েতের ফলে দাপট দেখিয়েছে গেরুয়াশিবির। তারপরই সিপিএমের দলীয় কার্যালয় খোলাকে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বলে মানছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
গোয়ালতোড়ের পিংবনি অঞ্চলকে একসময় বলা হত ‘লালদুর্গ’। রাজ্যে পালাবদলের পর চিত্রটা বদলে যায়। পিংবনি অঞ্চলে কমতে থাকে পার্টি কর্মীর সংখ্যা। যাঁরা ছিলেন তাঁদের অনেকেই পরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। অনেকে সদস্যপদ পুনর্নবীকরণও করেননি। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে ২০১৩ ও ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম পিংবনি অঞ্চলে প্রার্থী জোগাড়ই করতে পারেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, প্রার্থী জোগাড় করতে না পারা থেকে কার্যালয় খোলা— কয়েক মাসের ব্যবধানে এই পরিবর্তন ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। পিংবনির সিপিএম নেতা তপন পাল বলেন, ‘‘পার্টি অফিস খোলা হয়েছে, এবার থেকে পিংবনি অঞ্চলে পার্টির কাজকর্ম শুরু হবে প্রতিটি বুথ এলাকায়।’’ গোয়ালতোড়ের নেতা প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণপ্রসাদ দুলের অভিযোগ, ‘‘এখন তৃণমূল ও বিজেপির কাজে মানুষ তিতিবিরক্ত, তারাই উৎসাহিত হয়ে আমাদের কর্মীদের পার্টির কাজ শুরু করতে বলছেন।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা জেলাপরিষদ সদস্য চন্দন সাহা বলেন, ‘‘পিংবনিতে সিপিএম জনরোষে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। আমরা বাধা দিইনি কোনও সময়েই। ওরা ফের কাজ শুরু করলে মানুষ গ্রহণ করবে কিনা সন্দেহ। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে আমরা বাধা দেবও না।’’ আর গোয়ালতোড়ের বিজেপি নেতা অনিরুদ্ধ দে'র কটাক্ষ, ‘‘সিপিএমকে তো মানুষ আগেই প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। পার্টি অফিস খুললেও সিপিএমের লাভ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy