নাম ঘোষণার আগেই। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণার আগে কারও নাম ভাসিয়ে প্রচারে নিষেধ করেছে তৃণমূল। তারপরেও কোনও কোনও পুর এলাকায় তৃণমূল নেতাদের নাম প্রার্থী হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থী প্রচার করা হচ্ছে। এ বার সেই ঘটনা ঘটল মেদিনীপুর শহরে। তবে এক্ষেত্রে তৃণমূল নয়, দেওয়াল জুড়ে দেখা গেল সিপিএম প্রার্থীর নাম!
মেদিনীপুর শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে কেয়া সরকারের নাম। লেখা হয়েছে, ‘আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী কেয়া সরকার।’ পাশে আঁকা কাস্তে- হাতুড়ির প্রতীক।
এই ঘটনায় খানিকটা হলেও বিব্রত সিপিএমের জেলা এবং শহর নেতৃত্ব। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর কীর্তি দে বক্সী বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি, উৎসাহিত হয়েই দলের কয়েকজন কর্মী ওই কাজ করেছেন। তবে ওই ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী হিসেবে কেয়া সরকারের নামই আলোচনায় আছে।’’ একই সঙ্গে তিনি মানছেন, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে সম্ভাব্য প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখন করা ঠিক নয়।’’ যাঁর নামে দেওয়াল লিখন সেই কেয়াও বলছেন, ‘‘কয়েকজন কর্মী উৎসাহিত হয়ে দেওয়াল লিখে ফেলেছেন। এমনটা আর হবে না।’’ মেদিনীপুরে এ বার বাম-কংগ্রেস জোট প্রায় চূড়ান্ত। সূত্রের খবর, শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেরা ১৩টি ও কংগ্রেস ১২টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক হয়েছে। তার মধ্যে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডটি বামেদের ‘কোটায়’ এসেছে। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর সৌমেন খানেরও বক্তব্য, ‘‘নাম ঘোষণার আগে প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখন করা ঠিক নয়।’’
গত পুরভোটে মেদিনীপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে শহরের উপপুরপ্রধান হয়েছিলেন তৃণমূলের জিতেন্দ্রনাথ দাস। ওই ওয়ার্ডটি এ বার মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। দলের কর্মীরা যে প্রার্থীর নামে ভোট চেয়ে দেওয়াল ভরিয়ে ফেলছেন? জেলা সিপিএমের ওই নেতার জবাব, ‘‘যাঁরা ওই কাজ করেছেন, তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’’
শুধু ২৩ নম্বর নয়, ৫ নম্বর ওয়ার্ডেও বিদ্যুৎ ভট্টাচার্যের নামে দেওয়াল লিখন চোখে পড়েছে। সিপিএম প্রার্থী হিসেবেই বিদ্যুতের নামে ওই দেওয়াল লিখন হয়েছে। বিদ্যুতেরও দাবি, উৎসাহিত হয়ে দলের কিছু কর্মী এই কাজ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy