‘তিতলি’র আগমনে সমুদ্র উত্তাল। তাই দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল ভাগে জারি হল সতর্কতা। তবে এর মধ্যেই উত্তাল ঢেউয়ে নৌকা নামাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক মৎস্যজীবীর।
বুধবার সকাল থেকেই জেলায় শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। এ দিন সকালে কাঁথি উপকূলের ভোগপুর এলাকায় উত্তাল সমুদ্রে নৌকা নামাতে গিয়েছিলেন কাঁথি-২ দেশপ্রাণ ব্লকের বাঁকিপুটের ভোগপুরের বাসিন্দা নন্দন ওঝা (৩৩)। ঢেউয়ের তোড়ে জলে পড়ে নন্দন তলিয়ে যান বলে স্থানীয়দের দাবি। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁরা যেন দ্রুত ফিরে আসেন, সে দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় রামনগর-১ ব্লক অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিপদ হলে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন। তাজপুরের সাইক্লোন সেন্টার, পদিমা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাইক্লোন সেন্টার এবং রামনগর-১ ব্লক অফিসের সামনে সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রামনগর-১ এর বিডিও আশিসকুমার রায় বলেন, ‘‘উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের ব্লক প্রশাসনের তরফে সচেতন করা হয়েছে। ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, জনপ্রতিনিধিদের সাধারণ মানুষকে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টাই ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। কাঁথির মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য বলেন, “দিঘা-সহ উপকূলে সতর্কতা জারি হয়েছে।’’
পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন ওয়াটার স্পোর্টস। পুলিশের তরফে এ দিন দিঘায় মাইকে সতর্কতা-প্রচার শুরু হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই দিঘায় জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়। প্রবল বৃষ্টিতে হোটেলবন্দি ছিলেন বেশিরভাগ পর্যটকই। কলকাতার বেহালা থেকে আসা প্রদীপ রায় বলেন, “সমুদ্রে স্নান করতে পারলাম না। আবার বৃষ্টির জন্য সমুদ্রের ঢেউও উপভোগ করতে পারলাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy