Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
shilabati river

সুড়ঙ্গ ভাঙা শুরু, চিঠি বেআইনি দখলদারদের

ঘাটাল মানেই বন্যা। নদীবাঁধের গুরুত্বও যথেষ্ট। প্রতি বর্ষাকালেই তা টের পায় ঘাটাল।

চলছে ভাঙার কাজ। নিজস্ব চিত্র

চলছে ভাঙার কাজ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:১২
Share: Save:

নদীবাঁধে সুড়ঙ্গ দেখে কি টনক নড়ল প্রশাসনের!

ঘাটাল শহরের কুশপাতায় অনুকূল মন্দির যাওয়ার রাস্তার ধারে শিলাবতীর নদীবাঁধের নীচে তৈরি হয়েছিল সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গ ভাঙা এবং তা মেরামতির কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করেছে মহকুমা প্রশাসন। এর পাশাপাশি প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নদীবাঁধের উপর কোথায় , কী বেআইনি নির্মাণ রয়েছে তা ভেঙে ফেলতে দখলদারদের চিঠি পাঠানো হবে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়েরা। তাঁদের বক্তব্য, তা হলে কি সুড়ঙ্গ প্রকাশ্যে না এলে দখলদারদের চিঠি পাঠানো হত না! প্রশাসনের অবশ্য দাবি, দুই কাজ একসঙ্গে হচ্ছে ঠিকই, তবে এটা নেহাতই কাকতালীয়। দুয়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।

এ দিন মহকুমা শাসক অসীম পালের উপস্থিতিতে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের ওই নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়। তা দেখতে উৎসাহী জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল ঘাটাল থানার পুলিশও। রেস্তরাঁ ঘেঁষা বাঁধের নীচে সুড়ঙ্গের ছাদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাঁধের দিকের অংশের পাকার দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। এবার বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা হবে। প্রাথমিক ভাবে বাঁধের নীচে লম্বায় ২০ মিটার এবং চওড়ায় পাঁচ মিটার অংশে শাল বল্লি দিয়ে শক্তপোক্ত করে মেরামত করা হবে। মহকুমা শাসক বলেন, “নদীবাঁধের ওই অংশ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। টানা কাজ হবে। নদীবাঁধের বাকি অংশ ঠিকঠাক রয়েছে। ঘাটালের সমস্ত নদীর বাঁধই নতুন করে মেরামত করা হয়েছে।’’

ঘাটাল মানেই বন্যা। নদীবাঁধের গুরুত্বও যথেষ্ট। প্রতি বর্ষাকালেই তা টের পায় ঘাটাল। তাই নদীবাঁধ যাতে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, ঘাটাল শহরের কুশপাতা থেকে প্রতাপপুর পর্যন্ত চার কিলোমিটার নদী বাঁধের সমস্ত বে আইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। আনুমানিক তিনশো-সাড়ে তিনশো ছোট-বড় নির্মাণ রয়েছে। কুশপাতার সুড়ঙ্গের ঘটনা সামনে আসতেই জবর দখলকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। মহকুমা সেচ আধিকারিক উত্তম হাজরা বলেন, “আগামী সোমবার থেকে ঘাটাল শহরের কুশপাতা থেকে প্রতাপপুর পযর্ন্ত বাঁধের উপর সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে জবর দখলকারীদের চিঠি পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে উঠে যেতে সতর্ক করা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব ভেঙে ফেলতে হবে। কয়েকজন দখলকারী স্বীকার করলেন, “সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। হাতে চিঠি পাই। সবাই যা করবে, আমরাও তাই করব। নদীবাঁধের জমি তো আমাদের নয়?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shilabati River Tunnel Ghatal ঘাটাল
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE