—প্রতীকী চিত্র
ডেঙ্গি বাড়ছে। তাই ছুটির দিনেও রেহাই নেই জেলার স্বাস্থ্য প্রতিনিধিদের। শুক্রবার ডেবরা ব্লকে গিয়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এ দিন ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আরিফ হুসেন, জেলার পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ মৃণ্ময় দাস প্রমুখ।
গত কয়েকদিন ধরেই ডেবরা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি কবলিত পিংলা ব্লকের সংলগ্ন ডেবরা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এখন এই ব্লকে প্রায় ২৫জন আক্রান্ত রয়েছেন। তবে ব্লকের তুরিয়া ও টাবাগেড়িয়া গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এই দুই এলাকাতেই শুধুমাত্র ১০জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ দিন প্রথমে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান জেলার এই স্বাস্থ্য কর্তারা। কথা বলেন চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে। এর পরে রাধামোহনপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তুরিয়া গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের দেখে সমস্যার কথা জানান গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় এখনও পর্যন্ত মশা নিধনে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। দেওয়া হয়নি মশা মারার স্প্রে।
এলাকায় ডেঙ্গির লার্ভা দেখতে পেয়েছে স্বাস্থ্য কর্তারা। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাজলি রায় বলেন, “গ্রামের কয়েকজনের কয়েকদিন আগে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। আমরা এলাকায় সচেতনতা প্রচার করেছি। তবে মশা মারার স্প্রের মেশিন সদ্য গ্রাম পঞ্চায়েতে এসেছে। আমরা এ বার স্প্রের কাজ শুরু করব।”
আর জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “এখন ডেঙ্গি আক্রান্তেরা সুস্থ রয়েছেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা সচেতন করেছি। এলাকায় লার্ভা দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েতকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ওঁরা কথা দিয়েছে মশা নিধনের ব্যবস্থা করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy