বাড়ছে ডেঙ্গি জ্বরের প্রকোপ। প্রতীকী ছবি।
৪০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে হলদিয়ায়। হলদিয়ার বড় বাজারগুলিতে প্রায়ই অভিযান চলে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের হয়নি। আর সেটাই পুর এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়ার কারণ হিসাবে মনে করছেন পুরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, পাস্টিকের ব্যবহার নিকাশি নালাগুলিকে কার্যত অকেজো করে দিয়েছে। একে তো নালাগুলি নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। ফলে নালাগুলিতে অন্য বর্জ্যের সঙ্গে প্লাস্টিক জমে নালার মুখ আটকে যায়। জল সরতে না পেরে জমে থাকে। সেই জলে বংশবৃদ্ধি করছে মশা।
পুর এলাকার ১ থেকে ৯টি ওয়ার্ড কার্যত গ্রামীণ পরিবেশ। ১০ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড হল শিল্পতালুক এলাকা। বাকি ওয়ার্ডগুলির মধ্যে ২৩ থেকে ২৯ উপনগরীর পরিকাঠামোয় তৈরি। সবচেয়ে বেশি দূষণ শিল্পতালুক এলাকায়। নিকাশিরও হতশ্রী চেহারা। জ্বরের প্রকোপও এই এলাকায় বেশি। হলদিয়ার দুর্গাচক এলাকার জি ব্লকে কার্যত নিকাশিই নেই। ঘন বসতিপূর্ণ এই এলাকায় একটি নিকাশি নালা। কিন্তু নানা বর্জ্যে তা বুজে যাওয়ার জোগাড়। এলাকায় রয়েছে একাধিক পুকুর। সেগুলিতে নোংরা জমে মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রোদ নামলে বাইরে বেরোনো তো দূর ঘরে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরসভার সাফাই কর্মীরা এসে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করেন। মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শও দেন। কিন্তু যে নিকাশি নালাগুলি মশার আঁতুড়ঘর সেগুলি পরিষ্কারে কোনও উদ্যোগ নেই।
ডেঙ্গি সমীক্ষায় পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ৬৭০ জনের জ্বর নথিভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও আর কোনও তথ্য নেই। হলদিয়ার শিল্পতালুকের বেশিরভাগ মানুষের ইএসআই কার্ড রয়েছে। ফলে অনেকেই জ্বর হলে সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আর সে জন্যই কারও জ্বর হলে তার ডেঙ্গির উপসর্গ আছে কি না না কি সাধারণ জ্বর তা জানা কার্যত সম্ভব হচ্ছে না।
সম্প্রতি হলদিয়ার পদ্মপুকুরের এক বাসিন্দার ডেঙ্গি হয় বলে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক জানালেও পরে পুরসভার তরফে বলা হয়, ডেঙ্গি নয়। ডেঙ্গির উপসর্গ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে তেঁতুলবেড়িয়া, গেঁয়োডাব, রঘুনাথ চক, ডিঘসিপুর, ভবানীপুর, রায়রায়াচক, হাতিবেড়িয়া রেলকলোনি, রানিচক রেললাইন বস্তি, পদ্মপুকুর, রামনগর, হলদিয়া শহরের বিষ্ণুরামচক এলাকায় মশার দাপট বেশি।
পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার জগতবন্ধু দাস জানান, সাফাইকর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কাজে কোনওরকম গাফিলতি করা যাবে না। পুরসভার দাবি ২৬টি ওয়ার্ডে ৩৮২ জন মহিলা ডেঙ্গু কর্মী, ৩৮ জন সুপার ভাইজারের নেতৃত্বে কাজ করছেন। মশা মারার ৫২টি মেশিন পুর এলাকায় কাজ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy