Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জলাতঙ্ক রোধে সব ব্লকে ক্লিনিক

জলাতঙ্ক রোগ এড়াতে প্রতি ব্লকে ‘র‌্যাবিজ ক্লিনিক’ খোলা হবে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে এই ক্লিনিক থাকবে। এ ছাড়াও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খড়্গপুর ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল এবং ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালেও ‘র‌্যাবিজ ক্লিনিক’ খোলা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৬ ০১:০৯
Share: Save:

জলাতঙ্ক রোগ এড়াতে প্রতি ব্লকে ‘র‌্যাবিজ ক্লিনিক’ খোলা হবে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে এই ক্লিনিক থাকবে। এ ছাড়াও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খড়্গপুর ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল এবং ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালেও ‘র‌্যাবিজ ক্লিনিক’ খোলা হবে।

এ জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের মেদিনীপুরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। সোম ও মঙ্গলবার- দু’দিন ধরে চলে এই প্রশিক্ষণ। জলাতঙ্কের উপসর্গ নিয়ে কেউ এলে কী ভাবে চিকিৎসা হবে, শিবিরে তা নিয়েই আলোচনা হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “কুকুর- বেড়াল কামড়ালে প্রতিষেধক নেওয়া জরুরি। এ জন্য প্রতি ব্লকেই ক্লিনিক খোলা হবে। তার আগে মেদিনীপুরে প্রশিক্ষণ শিবির হল।” শিবিরে ফার্মাসিস্টরাও ছিলেন।

জেলার কয়েকটি হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগীদের চিকিৎসা হয়। তবে পৃথক ভাবে এতদিন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ‘র‌্যাবিজ ক্লিনিক’ ছিল না। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, প্রতি ব্লকে ৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন চিকিৎসক, ২ জন নার্স ও একজন ফার্মাসিস্ট। শিবিরে ছিলেন জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী, রবীন্দ্রনাথ
প্রধান প্রমুখ।

রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “ক্লিনিকগুলোর পরিকাঠামো উন্নত মানের হবে। এরফলে, রোগীরাই উপকৃত হবেন।” জেলার এক স্বাস্থ্য- কর্তার কথায়, “কুকুর- বেড়াল কামড়ালে তাদের দাঁতে লেগে থাকা লালা যদি মানুষের রক্তে মেশে একমাত্র তখনই জলাতঙ্কের আশঙ্কা থাকে। সেই ক্ষেত্রে প্রতিষেধক নেওয়া অবশ্যই জরুরি।” পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় কুকুরের উৎপাত লেগেই রয়েছে। দিনে দিনে কুকুরের সংখ্যা বাড়ছে। রাতের বেলায় রাস্তাঘাটে কুকুরের উপদ্রব বাড়ে বলে অভিযোগ। তখন পথচলতি মানুষকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ঘোষণা করেছে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে জলাতঙ্ক নির্মূল করা হবে। অবশ্য জেলার ছবিটা অন্য। জলাতঙ্কের উপসর্গ নিয়ে যারা হাসপাতালে আসেন, তাদের একাংশকে ঠিক সময় প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, “জলাতঙ্ক প্রতিষেধক ১৪ দিনের মাথায় কাজ করা শুরু করে। তার আগের সময়টায় যাতে রোগ থাবা না বসায় সেই জন্য এই ইঞ্জেকশন দিতে হয়।”

তিনি বলেন, “অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হয় ৭ দিন পর থেকে। পুরোপুরি তৈরি হতে ১৪ দিন লাগে। প্রতিষেধকের অন্তত তিনটি ডোজের আগে অনেক ঝুঁকি থাকে।” ওই স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, “জলাতঙ্ক কাউকে সময় দেয় না। তাই সাবধানের মার নেই।” এক- দু’মাসের মধ্যে সব ব্লকে ‘র‌্যাবিজ ক্লিনিক’-এর পরিকাঠামো গড়ে উঠবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। শুধু ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে এই ক্লিনিক থাকবে তা নয়। জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালেও র্যাবিজ ক্লিনিক খোলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rabies clinic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE