Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ক্যানসারের রোগীকে রক্ত দিলেন চিকিৎসকই

ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কদমডিহা গ্রামের বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলা মাস তিনেক আগে বহির্বিভাগে দেখাতে আসেন।

রাজীব দত্ত। নিজস্ব চিত্র

রাজীব দত্ত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোপীবল্লভপুর শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০০:০৭
Share: Save:

এ বার সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত এক মহিলার অস্ত্রোপচার করে সংক্রামিত অংশ বাদ দেওয়া হল। অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে রক্ত দিলেন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়।

ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কদমডিহা গ্রামের বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলা মাস তিনেক আগে বহির্বিভাগে দেখাতে আসেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তাঁর কোলনে ক্যানসার ধরা পড়ে। দরিদ্র পরিবারের ওই মহিলার পক্ষে ব্যয়সাধ্য চিকিৎসা চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল জানান, ওই রোগীর শারীরিক নানা সমস্যা হচ্ছিল। রোগীকে বাঁচাতে তাঁর পরিবারের মত নিয়ে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই রোগীর বৃহদন্ত্রের মধ্যভাগে যকৃৎ সংলগ্ন অংশে টিউমার ছিল। বৃহদন্ত্রের সম্মুখভাগ ও মধ্যভাগ বাদ দিয়ে বাকি অংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রোপচার করেছেন হাসপাতালের শল্যচিকিৎসক রাজীব দত্ত। সুপার জানান, ওই রোগীর রক্ত এ পজিটিভ। অস্ত্রোপচারের পরে রক্তের প্রয়োজন হওয়ায় চিকিৎসক রাজীব দত্ত ওই রোগীর জন্য রক্তদানও করেন। রাজীবের রক্তের গ্রুপও এ পজিটিভ। অস্ত্রোপচারের পরে রোগী সুস্থ হলে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হবে।

ওই রোগীর দাদা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানার লেঙ্গামারা গ্রামের বাসিন্দা জগৎ বেরা বলেন, ‘‘বোন বিধবা। বোনের স্কুল পড়ুয়া এক ছেলে ও এক মেয়ে। অভাবের সংসারে সামান্য চাষের জমিতে সংসার চলে। বছর দুয়েক ধরে বোনের পেটে ব্যথা হতো। মেদিনীপুরের চিকিৎসক দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ধরা পড়েনি। মাস দু’য়েক আগে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে দেখানোর পরে ধরা পড়ল। সরকারি হাসপাতালে এমন পরিষেবা পাব ভাবিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cancer Blood Donation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE