রোগীর হাতে ফুল দিচ্ছেন এক জুনিয়ার চিকিৎসক। পটাশপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র
কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়ার চিকিৎসকদের রোগীর পরিবারের মারধরের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। এর মধ্যেই পটাশপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক, নার্সেরা বেছে নিয়েছেন প্রতিবাদের অভিনব পন্থা। মারধরে তাঁদের পাল্টা হাতিয়ার ‘গাঁধীগিরি।’ চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগী এবং তাঁদের পরিজনের হাতে তাঁরা তুলে দিলেন গোলাপ ফুল এবং চকলেট।
এনআরএসে’র ঘটানায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি এবং কর্মক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার বিবিন্ন হাসপাতালের জুনিয়ার চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করেন। এগরা মহকুমার প্রতিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং জরুরি পরিষেবা অবশ্য ওই দিন স্বাভাবিক ছিল। বৃহস্পতিবারও সেই ছবির ব্যাতিক্রম হয়নি। কর্মবিরতিতে না গিয়ে এ দিন পটাশপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকেরা উল্টে এ দিন গোলাপ ও চকলেট তুলে দেন।
পটাশপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক গৌরাঙ্গ শীল বলেন, ‘‘আমরা চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে প্রতিবাদে বিশ্বাসী নই। আমরা চাই সুস্থ কাজের পরিবেশ। চাই নিজেদের নিরাপত্তা। তাই ফুল দিয়ে প্রতিবাদ জানালাম।’’ তবে চিকিৎসকদের সাফ দাবি, রাজ্য সরকার চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে যেভাবে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তার সদুত্তর তাদের দিতে হবে। বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা কোথায় রয়েছে, কী ধরণের পরিষেবা মিলবে, তার সাধারণ মানুষের কাছে আজও আজানা বলে দাবি তাঁদের। চিকিৎসকদের অভিযোগ, ডেঙ্গি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার ব্যবস্থা ব্লক হাসপাতালে নেই। তাও স্বাস্থ্য দফতর বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলছে, সরকারি প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়। এতে মানুষই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আর সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে ডাক্তারদের উপরে।
চিকিৎসক-প্রতিবাদের মুখেও চিকিৎসা পেয়ে খুশি রোগীরা। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আনিমুল ইসলাম এবং মমতা শিট বলেন, ‘‘হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ভাল পরিষেবা দেন। যাঁদের চিকিৎসায় মানুষ জীবন ফিরে পান, তাঁদের মারধর করা অন্যায়। দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy