মাঝরাতে তখন ঘুমে কাদা গ্রামবাসী। তখনই হানা দিল দলমার দল। নিমেষে তছনছ করল ১১টি মাটির বাড়ি। জানলা-দরজা ভেঙে খেয়ে ধান-চাল। বাড়ির উঠোনের কলাগাছ উপড়ে, আনাজ খেত সাবাড় করতেও কসুর করল না। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক বৃদ্ধা ও দম্পতি।
সোমবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার সর্ডিহা অঞ্চলের কুমারী গ্রামে। আগাম খবর না থাকায় এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে বন দফতরকে দুষছেন গ্রামবাসী। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলমার পালের ১২টি হাতিকে খড়্গপুর বন বিভাগের দিক থেকে খেদিয়ে ঝাড়গ্রামের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল হুলাপার্টি। ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের মানিকপাড়া রেঞ্জের এলাকায় হাতিগুলিকে ঢুকিয়ে দিয়ে হুলাপার্টির সদস্যরা চলে যান বলে অভিযোগ। জঙ্গল লাগোয়া কুমারী গ্রামে ঢুকে পড়ে হাতিগুলি। গ্রামের উপর পাড়া ও নিচু পাড়া মিলিয়ে ৬০টি পরিবারের বাস। মাটির বাড়ির জানলার ধারে ঘুমোচ্ছিলেন বৃদ্ধা শকুন্তলা মাহাতো। হাতিরা জানলা ভেঙে শুঁড় ঢুকিয়ে দেয়। অতর্কিতে ঘুম ভেঙে যায় বৃদ্ধার। তিনি বলেন, ‘‘অন্ধকারে এমন ঘটনায় আতঙ্কে চিৎকার করে উঠি। ছেলে-বৌমা এসে সরিয়ে না নিলে মারা পড়তাম। হাতিরা জানলা ভাঙার কিছু পরেই যে মাটির দেওয়াল পড়ে!’’
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাণীশ্রী মাহাতো জানায়, ‘‘রাতে পড়া শেষ করে সবে ঘুমিয়েছি। হঠাৎ গ্রামে হইহই কাণ্ড। আমাদের বাড়ির তিনটে জানালা ভেঙে দেয় হাতিরা।’’ গ্রামবাসী কার্তিক মাহাতো, লোকেশ মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘হাতি খেদানো হলে আশেপাশের গ্রামবাসীদের সতর্ক করে বন দফতর। সোমবার করা হয়নি।’’
ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘খড়্গপুর বন বিভাগ থেকে হাতিগুলি আমাদের এলাকা হয়ে মেদিনীপুর বন বিভাগের এলাকায় চলে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy