সুবর্ণরেখায় নদী ভাঙনের জেরে ফের বেশ কিছু বাড়ি ও রাস্তার ক্ষতি হল। বুধবার রাতে দাঁতনের বালিডাংরি ও বেলমূলা এলাকায় নদীর পাড় বরাবর বেশকিছু বাড়ির দেওয়াল ধসে যায়। গালুডি থেকে জল ছাড়ায় মঙ্গলবার রাত থেকে সুবর্ণরেখায় জল বাড়তে শুরু করে। বুধবার সকাল পর্যন্ত পলাশিয়া গ্রামের ৬টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছিল। পরিবারগুলিকে স্থানীয় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতে ফের বালিডাংরি গ্রামে নদীর পাড় বরাবর কিছু বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। ওই পরিবারগুলিকেও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নদীপারের একটি রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। বেলমূলা গ্রামের ৩টি বাড়ি ক্ষতি হয়েছে।
এ দিন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা পরিষদ সদস্য তথা দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। পলাশিয়া গ্রামেও যান তাঁরা। ইতিমধ্যে নদীর পার বাঁধানোর দাবি উঠেছে। উঠেছে ক্ষতিপূরণের দাবিও। বিধায়ক বিক্রম প্রধান ইতিমধ্যেই সেচমন্ত্রীর কাছে নদীর পাড় বাঁধানোর আবেদন করেছেন। অজিতবাবু বলেন, “বেশ কয়েকটি বাড়ি একেবারে ভেঙে গিয়েছে। জেলা পরিষদ ও দলের পক্ষ থেকে আমরা পৃথকভাবে বিভিন্ন মহলে ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্যের আবেদন করছি।” তবে মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “নদীর জল এখন অনেক নীচে নেমে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ব্যক্তিগত জমিতে থাকা বাড়ির ক্ষতি হলে সরকারি ক্ষতিপূরণ পাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy