Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
কম ক্ষতিপূরণ, চন্দ্রকোনায় কৃষি দফতরে বিক্ষোভ চাষিদের

ভাঙচুরে নাম জড়াল তৃণমূলের

পুলিশ ও ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে খবর, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের চেক বিলি শুরু হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে চাষিদের আবেদন পত্রের সঙ্গে প্রামাণ্য নথির ভিত্তিতেই অনুমোদন হয়েছে টাকা।

তাণ্ডব: ভাঙচুরের পরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

তাণ্ডব: ভাঙচুরের পরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব সংবাদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৪২
Share: Save:

ক্ষতিপূরণের টাকা কম আসার অভিযোগ তুলে কৃষি দফতরে ঢুকে ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার চন্দ্রকোনা-২ ব্লক কৃষি আধিকারিকের কার্যালয়ে এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দফতরের আধিকারিক শতরূপা আচার্য। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শতরূপা দেবী বলেন, ‘‘কারও অভিযোগ থাকতেই পারে। লিখিতভাবে জানালে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। কিন্তু তা না করে অফিসে ঢুকে ভাঙচুর, হেনস্থা কেন হল বুঝতে পারলাম না। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

পুলিশ ও ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে খবর, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের চেক বিলি শুরু হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে চাষিদের আবেদন পত্রের সঙ্গে প্রামাণ্য নথির ভিত্তিতেই অনুমোদন হয়েছে টাকা। ওই ব্লকে প্রাথমিক ভাবে ২৩ হাজার চাষির ক্ষতিপূরণের চেক এসেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৯ হাজার চেক চাষিদের হাতে তুলেও দিয়েছে কৃষি দফতর। এদিন চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কুঁয়াপুর পঞ্চায়েতের বালা, শ্যামগঞ্জ-সহ বিভিন্ন গ্রামের জনা ষাটেক চাষি আচমকাই কৃষি দফতরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের টাকা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম।

ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে খবর, বিক্ষোভের ফাঁকেই আচমকাই কয়েকজন চাষি অফিসে ঢুকে কর্মীদের হেনস্থা করে। চেয়ার-টেবিল উল্টে দেয়। ভেঙে দেয় টেবিলের কাঁচ। এমনকী অফিসের দরজাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কৃষি আধিকারিক শতরূপা আচার্যকে ঘিরেও বিক্ষোভ, গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুরো ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ব্লক কমিটির সদস্য সঞ্জিত মিদ্যা ও কুঁয়াপুর অঞ্চলের সদস্য দেবদুলাল হালদার সহ শাসক দলের কয়েক জন নেতার। গোলমালের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রকোনা থানার ওসি সুদীপ ঘোষাল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে শাসকদল। পুরো বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দলুই। তিনি বলেন, “প্রতিবাদের নামে সরকারি অফিসে হামলা মেনে নেওয়া যাবে না।”

জেলা নেতৃত্বের একাংশও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। চন্দ্রকোনা-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অমিতাভ কুশারী বলেন, “দলের কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করা হবে।” যদিও সঞ্জিত মিদ্যার দাবি, “আমি ওই এলাকায় ছিলাম ঠিকই, কিন্তু অফিসে ঢুকিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chandrakona farmers Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE