Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Indian Railways

গড়াল লোকাল, শুরুতে ভিড় নেই

প্রথম দিন ট্রেনে যাত্রী কম হলেও লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় খুশি দিঘার হোটেল মালিক থেকে শুরু করে অন্য ব্যবসায়ীরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ০২:০০
Share: Save:

সম্ভাবনা ছিল ভিড়ের। যা সামাল দিতে সব রকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সাত মাস পরে লোকাল ট্রেন চালুর প্রথম দিন বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় কামরা থাকল কার্যত ফাঁকা।

এ দিন ভোর ৩টা ৫ মিনিটে পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে প্রথম লোকাল হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কার্যত যাত্রী শূন্য অবস্থাতেই সেটি স্টেশন থেকে ছাড়ে। পরে অফিস টাইম থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত পাঁশকুড়া স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের ভিড় বা লাইন নজরে পড়েনি। এ দিন সৈকত শহর দিঘা থেকে একটি লোকাল ভোর সওয়া ৫টা নাগাদ পাঁশকুড়া যায়। দিঘায় ট্রেনে হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী চাপে। তবে কাঁথি স্টেশনে ৩২ জন যাত্রী ওই ট্রেনে উঠে। মেচেদা থেকে আরেকটি লোকাল ট্রেন সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ দিঘা পৌঁছয়। তাতেও ভিড় ছিল না। ট্রেনে এবং প্ল্যাটফর্মে দেখা মেলেনি হকারদেরও।

অবশ্য ভিড়ের আশঙ্কায় ভোর থেকেই পাঁশকুড়া, মেচেদা স্টেশন চত্বরে ছিল পর্যাপ্ত পুলিশি বন্দোবস্ত। আরপিএফ, জিআরপির পাশাপাশি পাঁশকুড়া থানার পুলিশ উপস্থিত ছিল স্টেশন চত্বরে। মেচেদা-পাঁশকুড়া উভয় স্টেশনেই টিকিট কাউন্টারে ঢোকার আগে সমস্ত যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি প্ল্যাটফর্মে। প্রতি টিকিট কাউন্টারের সামনে রাখা ছিল স্যানিটাইজ়ার। বাঁশ ও দড়ি দিয়ে প্ল্যাটফর্মে ঢোকা ও বেরনোর পথ ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন মেচেদা স্টেশন পরিদর্শনে যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল, জেলা পুলিশ সুপার সুনীলকুমার যাদব। মেচেদার স্টেশন ম্যানেজার শম্ভুনাথ ঘোড়াই বলেন, ‘‘স্টেশনে প্রবেশ থেকে ট্রেনে ওঠা পর্যন্ত, সর্বত্র করোনা সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’

পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে এ দিন হাওড়া যান স্থানীয় বাসিন্দা কল্যাণ রায়। তিনি বলেন, ‘‘রেলের তরফে যে ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা সন্তোষজনক। তমলুক থেকে লোকালে চেপে রামনগরে যাওয়া এক যাত্রীর কথায়, ‘‘কাজের সুবাদে নিয়মিত তমলুকে যেতে হয়। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর প্রতিদিন বাসে যেতাম। খরচ আর সময় বেশি লাগত। লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় অনেকটাই সুবিধে হল।’’

প্রথম দিন ট্রেনে যাত্রী কম হলেও লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় খুশি দিঘার হোটেল মালিক থেকে শুরু করে অন্য ব্যবসায়ীরা। রতন আচার্য নামে এক ফেরিওয়ালা বলেন, ‘‘সপ্তাহ শেষে ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের সুবিধে হবে। তাই এবার বিক্রি অনেকটাই বাড়বে।’’ একই রকম প্রতিক্রিয়া দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, ‘‘ডিসেম্বরে ছুটির মরসুম শুরু হওয়ার আগে লোকাল ট্রেন চালু হল। শীতের ছুটি কাটাতে পর্যটকেরা এবারে অনায়াসে সৈকত শহরে আসতে পারবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE