মেদিনীপুর শহরে লাগানো হয়েছে এমনই ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র
‘স্বাগত সৌমেন খান’।
সৌমেন খানের ছবি দেওয়া এমনই ফ্লেক্সে ছেয়েছে শহর মেদিনীপুর। নীচের দিকে লেখা ছিল, ‘সৌজন্যে: তৃণমূল কংগ্রেস’।
কংগ্রেস কাউন্সিলর সৌমেনবাবু দীর্ঘদিন দলের শহর সভাপতিও ছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে দিন কয়েক আগে শহরে এক কর্মসূচিতে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। সম্প্রতি সৌমেনবাবুকে শহর কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। একাংশ কংগ্রেস কর্মীর দাবি, দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই কাউন্সিলরকে শহর সভাপতির পদ থেকে সরতে হয়েছে। তিনি জেলা কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ নন। মেদিনীপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর মধ্যে এলআইসি মোড় অন্যতম। কাছেই জেলা কালেক্টরেট। বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতর। শনিবার সকালে এই মোড়ে কয়েকটি ফ্লেক্স দেখা যায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শুক্রবার রাত পর্যন্ত এখানে এই সব ফ্লেক্স ছিল না। অর্থাৎ, শুক্রবার গভীর রাতে কে বা কারা এখানে এসে ফ্লেক্সগুলো লাগিয়ে গিয়েছে।
সাতসকালে এলআইসি মোড়ে এমন ফ্লেক্স দেখে চোখ কচলেছেন অনেকেই। আপনি কি তৃণমূলে যাচ্ছেন? না হলে এমন ফ্লেক্স কেন? কংগ্রেস কাউন্সিলর সৌমেনবাবু বলেন, “শুনেছি শহরে কয়েকটি ফ্লেক্স না কি লাগানো হয়েছে। জানি না কে লাগিয়েছে। কেউ বা কারা নিশ্চয়ই লাগিয়েছে। ফ্লেক্স তো আর উড়ে আসবে না!” তাঁর কথায়, “এর পিছনে নিশ্চয় কোনও চক্রান্ত রয়েছে। যে বা যারাই লাগাক, তারা নিশ্চয় কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে লাগিয়েছে। আমি এ নিয়ে একদমই ভাবছি না।”
তৃণমূলের শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডব বলেন, “আমাদের দলের কেউ এই ফ্লেক্স লাগায়নি। লাগাতে যাবেই বা কেন? নিশ্চয় কংগ্রেসেরই কেউ না কেউ এ কাজ করেছে।”
কংগ্রেসের কেউ কি এই কাজ করে থাকতে পারে? সৌমেনবাবু বলেন, “মনে হয় না দলের কেউ এক কাজ করেছে বলে। তবে এক- দু’জন করতেও পারে।” পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মেদিনীপুরে। ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তারমধ্যেই এই ঘটনা নানা জল্পনা উসকে দিয়েছে। কংগ্রেস কাউন্সিলর অবশ্য জানাচ্ছেন, “তিনি কংগ্রেসে ছিলেন, আছেন। কংগ্রেসেই থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy