ফাইল চিত্র
স্বাধীনতা দিবসের পর কয়েকদিন চুপচাপ। এ বার শিক্ষক দিবসের আগে ফের সক্রিয় হলেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা।
শিক্ষকদের সম্মান জানাতে মেদিনীপুরে রাতারাতি গড়ে উঠল ‘বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা সমিতি’। জেলার কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি হলেন সমিতির সভাপতি। সরকারি ভাবে শিক্ষক-সম্মানের অনুষ্ঠান এ বার ছোট করেই হবে। তৃণমূলের উদ্যোগে তেমন কোনও কর্মসূচির ঘোষণা এখনও নেই। তবে শুভেন্দু অনুগামীরা তৎপর। নতুন রমাপ্রসাদকে প্রকাশ্যে বলতেও শোনা যায়, ‘‘দাদা (শুভেন্দু ) সব সময়ে মানুষের পাশে থাকেন। আমরা দাদার অনুগামী। দাদার সঙ্গে ছিলাম, আছি, আগামী দিনেও থাকব।’’
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দু’দিনের মধ্যে ঘর ওয়াপসি হয়েছিল রমাপ্রসাদের। এ ক্ষেত্রেও শুভেন্দুর ভূমিকা ছিল বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। শেষ মুহূর্তে কিছু বদল না হলে কাল, শনিবার মেদিনীপুরের এক সভাঘরে বিধি মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষককে সম্মান জানানো হবে। শুভেন্দুর কাছেও কি আমন্ত্রণ পৌঁছছে? এ ব্যাপারে রমাপ্রসাদ অবশ্য কিছু বলতে নারাজ। তিনি শুধু বলছেন, ‘‘বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা সমিতি’ গড়ে তুলেছি। সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করে, অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে এ বার আমরা শিক্ষক দিবস পালনে ব্রতী হয়েছি।’’
সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসে জঙ্গলমহলের পৃথক দায়িত্বে শুভেন্দুকে আর ফেরাননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদ দেওয়া হয় পর্যবেক্ষক পদটি। বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হন শুভেন্দু অনুগামীরা। এরপর একাধিকবার নানা দিনে দলহীন জনসংযোগ করেছিলেন তাঁরা। স্বাধীনতা দিবসের পর এ বার জনসংযোগে বেছে নেওয়া হল শিক্ষক দিবসকে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি বলছেন, ‘‘এমন কোনও কর্মসূচির কথা আমার জানা নেই।’’
রমাপ্রসাদ পেশায় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। তৃণমূলের অন্দরের খবর, শুভেন্দুকেই তাঁর রাজনৈতিক শিক্ষক মানেন রমাপ্রসাদ। বিদ্যাসাগরের নামে মঞ্চ গড়ে শিক্ষক সম্মানের আয়োজন করেছেন ছাত্র। সে মঞ্চে কি দেখা যাবে শিক্ষককে! প্রতীক্ষা ২৪ ঘণ্টার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy