n আহত কার্তিক রাম। বুধবার কোলাঘাটে। নিজস্ব চিত্র
ছাত্রসংসদ কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বুধবার উত্তজনা ছড়াল কোলাঘাটে। জখম হয়েছেন ৪ জন।
কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুলের মধ্যেই সকালে ক্লাস চলে রবীন্দ্রভারতী মহাবিদ্যালয়ের। কলেজে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের দখলে ছাত্রসংসদ। বর্তমানে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক জয়প্রকাশ সিংহ। তাঁর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই বহিরাগত একদল ছাত্র নিজেদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থক দাবি করে ছাত্রসংসদ দখলের চেষ্টা করছে। না পেরে এ দিন হামলা চালায় আমাদের কয়েকজন সমর্থকের উপর।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই কলেজ চত্বরে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। বিকেল পাঁচটা নাগাদ দু’পক্ষের নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনার কথাও হয়। এরপরই বেলা ১১ টা নাগাদ ছাত্রসংসদের বেশ কয়েকজন নেতা কোলাঘাট বিট হাউস থানা থেকে ফেরার সময় আক্রান্ত হন। অভিযোগ, এক দল যুবক ব্লক তৃনমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দে, কার্তিক রাম, নিলাদ্রি সামন্ত, সর্বাত্য ভৌমিককে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে।
জয়প্রকাশ বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেদের ওপর বহিরাগতরা হামলা চালায় ও মারধর করে। আমাদের চারজন জখম হন।প্রসেনজিৎ দে এবং কার্তিক রামের আঘাত গুরুতর। যারা এই হামলা চালিয়েছে তারা কেউই তৃণমূলের নয়। ওরা আগেও কলেজে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছে। এই বিষয়ে বেশ কয়েকবার থানায় জানানোও হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর এক নেতা বলেন, ‘‘বহিরাগত তথ্য মিথ্যা। ওদের প্রসেনজিৎ দে, কার্তিক রামই বহিরাগত। কেউই কলেজের ছাত্র নয়। এদিন সকালে ওরাই প্রথম আমাদের উপরে হামলা চালায়।’’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ নিয়ে কোলাঘাটের তৃণমূল নেতা অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কী কারণে এই বিবাদ তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়।’’ পুলিশ জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy