মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খড়্গপুর পেতে চলেছে নতুন প্রেক্ষাগৃহ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন জিতেছেন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার। প্রদীপকে জেতানোর ‘উপহার’ হিসেবে এ বার নতুন প্রেক্ষাগৃহ পেতে চলেছে রেলশহর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খড়্গপুরে অডিটোরিয়াম তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে রাজ্যসভার চারজন সাংসদ অর্থ দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে। এ বার ডিপিআর (ডিটেলস্ প্রজেক্ট রিপোর্ট) তৈরি শুরু হবে। পূর্ত দফতরেরই এই ডিপিআর বানানোর কথা।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘খড়্গপুরে নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হবে। এ জন্য রাজ্যসভার চারজন সাংসদ অর্থ দিয়েছেন। পূর্ত দফতরকে ডিপিআর বানানোর কথা জানানো হচ্ছে।’’ তাঁর আশা, জমি চিহ্নিত করে শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহ তৈরির কাজ শুরু সম্ভব হবে। বিধানসভা উপ-নির্বাচনে প্রথমবার রেলশহর খড়্গপুর ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য সভাপতির ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে দলের প্রার্থী জেতায় গত মাসেই খড়্গপুর ছুঁয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়্গপুরবাসীকে অভিনন্দন জানাতেই এখানে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের নতুন বিধায়ক প্রদীপকে অভিনন্দন জানিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘‘খুব ভাল হয়েছে। আরও ভাল ভাবে কাজ করো।’’
খড়্গপুরের পরিষেবা প্রদানের সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘এখানে যে স্টেডিয়াম হচ্ছে, আমি তার জন্য রাজ্যসভার সাংসদ তহবিল থেকে পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। স্টেডিয়ামের মাঠ ও প্রাচীর হয়ে গিয়েছে। গ্যালারি করার জন্য যুব ও ক্রীড়া দফতর থেকে আরও পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে গেলাম।’’ খড়্গপুরে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের জন্য দলের রাজ্যসভার সাংসদ তহবিল থেকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো প্রেক্ষাগৃহ তৈরিতে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আহমেদ হাসান ইমরান, ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন এবং শান্তনু সেন—রাজ্যসভার এই চারজন সাংসদ অর্থ দিয়েছেন। আহমেদ এবং ডেরেক দেড় কোটি টাকা করে, দোলা ও শান্তনু এক কোটি টাকা করে দিয়েছেন। খড়্গপুরের বিধায়ক তথা রেলশহরের পুরপ্রধান প্রদীপ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। নতুন প্রেক্ষাগৃহ হলে শহরের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ উপকৃত হবেন।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, খড়্গপুর টাউন হলের পাশেই নতুন প্রেক্ষাগৃহ হতে পারে। এখানে কিছুটা জমি রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, প্রেক্ষাগৃহটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে। জেনারেটরের ব্যবস্থাও থাকবে। আধুনিক আলো এবং সাউন্ড সিস্টেম থাকবে। বসার জন্য পাঁচশোরও বেশি চেয়ার থাকার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy