ভস্মীভূত তৃণমূলের কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে রাজ্য জুড়ে অব্যাহত ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা। এবার পাঁশকুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদনবাড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও শনিবার রাতের ওই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে খবর পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন তৃণমূলের ওই দলীয় কার্যালয়টি কাউন্সিলরের ওয়ার্ড অফিস হিসেবেই ব্যবহৃত হত। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের। তৃণমূলের দাবি, দরমার বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি ঘরটি ওয়ার্ড অফিস হওয়ায় সেখানে তাদের দলীয় ও সরকারি প্রচুর নথিপত্র ছিল। শনিবার রাত ২টো নাগাদ স্থানীয় লোকজন অফিসটিকে দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা আসার আগেই কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়। অফিসটির আশেপাশে কোনও বাড়ি না থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তবে আগুনের প্রচণ্ড তাপে পুড়ে যায় রাস্তার পাশে থাকা ফ্লেক্স, একটি পথবাতির স্তম্ভ। ঘটনাস্থলে যান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হরেন্দ্রনাথ মাইতি, পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে আসে পাঁশকুড়া থানার পুলিশও।
নন্দবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওয়ার্ডটি তৃণমূলের দখলে থাকলেও এবার ভোটে বিজেপি এই ওয়ার্ডে এগিয়ে আছে। তাই বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।’’ তিনি জানান, পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি দলীয় স্তরেও তাঁরা তদন্ত করবেন।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পাঁশকুড়া পুরসভার বিরোধী নেতা সিন্টু সেনাপতি। তিনি বলেন, ‘‘এ বার ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা পোলিং এজেন্টই দিতে পারিনি। ওখানে আমাদের সংগঠনই নেই। প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত তৃণমূলের লোকজন ওই অফিসে ফিস্ট করে। যেহেতু রাজ্য জুড়ে বিজেপি ভাল ফল করেছে, তাই বিজেপির বদনাম করতে তৃণমূল চক্রান্ত করে নিজেরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’
তবে তৃণমূলের ওই অফিসে প্রায়ই রাতে রান্নাবান্না হত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। অফিসের ওপর দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তারও। তাই রান্নার আগুন অথবা বিদ্যুতের তার থেকে অগ্নিকাণ্ড কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy