ঘাটালের কর্মসূচিতে দেব। —ফাইল চিত্র
দলের তারকা সাংসদ দেবের সভায় তৃণমূলের বিধায়ক, পুরপ্রধানের গরহাজিরা নিয়ে আলোচনা চলল শুক্রবারও। ঘাটাল শহরে তৃণমূল নেতাদের অনেকেই বলছেন, এমন বিভাজনের কথা জানা ছিল না। আবার কারও মত, যদি কিছু মতবিরোধ থেকেও থাকে তা যেন উন্নয়নের কাজে প্রভাব না ফেলে। সাংসদের সঙ্গে বিধায়ক ও পুরপ্রধানের দূরত্ব বেআব্রু হয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের সাধারণ কর্মীদের মধ্যেও গুঞ্জন চলছে। সকলেই চাইছেন, জল যেন বেশিদূর না গড়ায়। যাতে পুরভোটে এই বিরোধের ফায়দা তুলতে না পারে বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার ঘাটাল ও দাসপুরে নানা কর্মসূচিতে যোগ দেন দেব। তবে ‘অন্য কাজে ব্যস্ত’ থাকার কথা বলে দেবের কোনও অনুষ্ঠানেই থাকেননি ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই এবং ঘাটালের পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ। প্রকাশ্যে কেউ পরস্পরবিরোধী কিছু বলেননি। কিন্তু পুরভোটের মুখে এমন ঘটনায় বিতর্ক চাপা পড়েনি। শঙ্কর এবং বিভাস দু’জনেই বলছেন, “অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম বলেই যেতে পারিনি। আর অন্য কিছু নয়।” ঘাটাল শহর তৃণমূল সভাপতি অরুণ মণ্ডলের আবার বক্তব্য, “আমি সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানের কথা জানাই ছিল না।” তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির দাবি, “আমরা উন্নয়নের সঙ্গে আপস করি না। সবার উপরে দল।”
বৃহস্পতিবার ঘাটালে এসে সাংসদ দেব শহরের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। পুরভোটের আগে শহরবাসীর জন্য তা নিঃসন্দেহে সুখবর। ঘাটাল শহর বন্যা প্রবণ এলাকা। তাই বন্যার সময় বা বিদ্যুৎ না থাকলে শহরবাসী যাতে পানীয় জল পান, সে জন্য ৮টি সৌরচালিত পাম্প তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় তৈরি হবে। ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটির সামনেও একটি পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি হবে। গরম জলও মিলবে। যাত্রী প্রতীক্ষালয়টির সংস্কার করা হবে। এ সব হবে সাংসদ তহবিলের টাকায়।
দেব বলে গিয়েছেন, “হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের গরম জল প্রয়োজন হয়। এই জল অনেকে কেনেন। রোগীদের স্বার্থে তাই নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে। সৌর পাম্পে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকলে বন্যার সময় পানীয় জলের অসুবিধা হবে না।” পুরপ্রধান বিভাস ঘোষের দাবি, এই সব প্রকল্পগুলি নিয়ে সাংসদের সঙ্গে আগেই তাঁর আলোচনা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy