দুর্গা মালিক।
স্বামী-সহ পরিবারের চার জনকে কয়েকদিনের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন দুর্গা মালিক। চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল পরিজনদের। এরপরই বেআইনি কারবারের বিরুদ্ধে দশ হাতে লড়াইয়ে নামেন দুর্গা। ঘাটাল থানার গোপমহল গ্রাম আজ পুরোপুরি চোলাই মুক্ত। ঘরে ঘরে শান্তি ফিরেছে। স্বস্তিতে গ্রামের মহিলারাও। তাঁদের কাছে দুর্গাই হলেন যথার্থ লক্ষ্মী।
দুর্গার নাম শুনেই ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিক বলছিলেন, “চোলাই বন্ধে প্রমীলা বাহিনী গড়ে তোলা হবে। আন্দোলনের প্রধান মুখ হবে দুর্গা মালিক।’’ মালিক পাড়ার বছর সাতচল্লিশের দুর্গার স্বামী শক্তি অকালেই মারা গিয়েছিলেন। সকাল-সন্ধ্যায় চোলাইয়ের ঠেকে আড্ডা ছিল শ্বশুর-দেওরেরও। একেক করে পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়। ছেলেও মদের নেশায় বাড়িতে অশান্তি শুরু করেছিল। ২০১২ সালে এই বেআইনি কারবার বন্ধ করতে গর্জে উঠেন তিনি। নাগালের কাছে মদ না পেয়ে এলাকার পুরুষেরাও চোলাই থেকে অনেক দূরেই। দুর্গার কথায়, ‘‘কত হুমকি শুনেছি। এখনও আর কোনও ভয়ডর নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy