কলাগ্রামে পরিদর্শনে বিধায়ক শিউলি সাহা, সভাধিপতি উত্তরা সিংহরা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
কেশপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও জলের তলায়। জল বেড়েছে মুগবসান, আমনপুর, কলাগ্রাম, আমড়াকুচি, শীর্ষা-সহ বিভিন্ন এলাকা। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে আরও কয়েকটি ত্রাণ শিবির খোলার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।
জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার নির্দেশে সোমবারই দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ। কেশপুরের বিডিও সৌরভ মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিভিন্ন এলাকায় যান। মঙ্গলবারও দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন বিডিও। মহকুমাশাসক দীননারায়ণবাবু মানছেন, “কেশপুরের পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হলে ধীরে ধীরে জল নেমে যাবে। জল নামতে শুরু করলেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
বেশ কিছু নলকূপ জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাঁশগেড়িয়ার বাসিন্দা আশা দোলুই, মমতা দোলুইরা বলছিলেন, “সমস্যার শেষ নেই। রান্নাঘরেও জল ঢুকে গিয়েছে।” বাঁশগেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিমাই দোলুই, লক্ষ্মণ দোলুইদের কথায়, “জল বাড়ছে। কখন কী হয় কে বলতে পারে! রাতের দিকে হঠাৎ করে জল বাড়লে তখন বড় সমস্যা হবে। তাই স্কুলে এসে আশ্রয় নিয়েছি।”
কেশপুর-চন্দ্রকোনা, আনন্দপুর-সাহসপুর রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব ক’টি চাতাল এখন জলের তলায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কেশপুরে ১৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এই শিবিরগুলো রয়েছে মুগবসান, আমনপুর, কলাগ্রাম, আমড়াকুচি, শীর্ষাতেই। ঝেঁতল্যা সহ আরও ২-৩টি জায়গায় শিবির খোলার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “জলমগ্ন এলাকার অনেকে শিবিরে আসতে চাইছেন না। ওঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। রাতের দিকে জল বাড়লে বড় সমস্যা হতে পারে। মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের শিবিরে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এখনও পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বাকি ৭টি চন্দ্রকোনায়। কেশপুরে দুর্গতদের উদ্ধারে স্পিডবোট নামানো হয়েছে। তবে কয়েকটি এলাকা থেকে ত্রাণ নিয়ে নালিশ আসতে শুরু করেছে। দুর্গতদের বক্তব্য, সকলের কাছে সময় মতো ত্রাণ পৌঁছচ্ছে না। প্রশাসনের অবশ্য আশ্বাস, ত্রাণের অভাব নেই। ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকায় ত্রাণ বিলির কাজ চলছে। ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও ত্রাণ সামগ্রী
পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy