Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ল জোগান, খুশি ইলিশপ্রেমীরা

‘দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সূত্রের খবর, গত তিন দিন ধরে গড়ে ১০ থেকে ১৫ টন ইলিশ আসছিল। এ দিন দিঘা মোহনায় ৩০ টন ইলিশ আমদানি হয়েছে। যা মরসুমের সর্বোচ্চ।

রুপোলি-আভা: দিঘা মোহনার মাছবাজারে।

রুপোলি-আভা: দিঘা মোহনার মাছবাজারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা ও হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৩
Share: Save:

মরসুমের শুরুটা ভাল যায়নি। তবে হতাশ করেনি সমুদ্র। বুধবার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল মরসুমের সবচেয়ে বেশি ইলিশ। হলদি নদীতেও বেড়েছে ইলিশের আনাগোনা। সেখানেও গত দু’এক দিনে ধরা পড়ছে পর্যাপ্ত ইলিশ।

‘দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সূত্রের খবর, গত তিন দিন ধরে গড়ে ১০ থেকে ১৫ টন ইলিশ আসছিল। এ দিন দিঘা মোহনায় ৩০ টন ইলিশ আমদানি হয়েছে। যা মরসুমের সর্বোচ্চ। নিম্নচাপের ঝিরঝিরে বৃষ্টি, মেঘলা আবহাওয়া এবং পুবালী হাওয়াতেই ইলিশের জোগান বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। জোগান বাড়ায় এক ধাক্কায় ইলিশের দামও কমেছে বেশ কিছুটা। শুধু ইলিশ নয়, পমফ্রেট-সহ অন্য সামুদ্রিক মাছও এখন দেদার মিলছে সমুদ্রে।

এ দিন দিঘা মোহনায় ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫০০ -৫৫০ টাকা কিলোগ্রাম দরে। আগে যা ছিল ৬৫০-৭০০ টাকা। আবার, ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এ দিন বিক্রি হয়েছে ৭০০ -৯০০ টাকায়। আগে যা ছিল ৮০০-১০০০ টাকা। ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এবার খুব কম উঠেছে। ওই ওজনের ইলিশের দাম এ দিন ছিল এক হাজার ৩০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। মৎস্যজীবীদের আশা, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে।

এ দিকে, পুবালী হাওয়ায় ভর করে বড় মাপের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে হলদি নদীতেও। হলদিয়া টাউনশিপের আড়তদার বাবুলাল সিংহ বলেন, ‘‘এবার প্রথম থেকেই বড় ইলিশ মিলছে। এখন দুই থেকে আড়াই কিলোগ্রামের ইলিশ ধরা পড়ছে।’’ হলদিয়ার ব্লক মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন সাহু বলেন, ‘‘অসম-সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এছাড়া পুবালী বাতাস এবং নিম্নচাপের কারণেও ইলিশ আসছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Food Hilsa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE