প্রতীকী ছবি।
শিল্প শহর হওয়ার সুবাদে এমনিতেই দূষণ নিয়ে জর্জরিত হলদিয়া। তাই বসন্ত উৎসবের প্রাক্কালে সতর্ক পরিবেশ প্রেমীরা। পরিবেশ বাঁচানোর পাশাপাশি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বাজারে সহজলভ্য বিভিন্ন রঙ ব্যবহার না করে, রঙিন আবিরে দোল উৎসব পালনের বার্তা দিলেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে দোল উদযাপন নিয়ে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কঠোর পুলিশ-প্রশাসনও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার দুর্গাচক এলাকায় দোলে বাহারি নানরকম রঙের চল রয়েছে। এই সব রঙের ব্যবহারে চর্মরোগে কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছেন এমন উদাহরণও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দোলে ওই সব রঙের ব্যবহারে হুঁশ ফেরেনি মানুষের। টাউনশিপ, সিটি সেন্টার-সহ শহরের ওয়ার্ডগুলিতে ওই সব রঙে দোল খেলা হয়। অনেকে ওই ধরনের রং মাখতে আপত্তি করলেও তা শোনা হয় না বলে অভিযোগ।
শহরে এই সব রঙের ব্যবহার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠলেও শিল্পশহরের গ্রামীণ এলাকায় রঙ খেলার ছবিটা একেবারেই আলাদ। হলদিয়া পুর এলাকা লাগোয়া উত্তর কালীনগর গ্রামের বাসিন্দা তথা পরিবেশ কর্মী মধুসূদন পড়ুয়া বলেন, ‘‘বাঁদুরে রং খেলা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই রঙের কুপ্রভাব সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে মাইক নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।’’ স্থানীয়দের বক্তব্য, বছর পাঁচেক আগে বাঁদুরে রং ব্যবহার এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হলদিয়া-সুতাহাটা শাখার সম্পাদক মনীন্দ্র নাথ গায়েন বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে চৈতন্যপুর সহ একাধিক এলাকায় রঙের দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা যাতে বাঁদুরে রঙের পরিবর্তে আবির বিক্রি করেন সে জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।’’
শরীর ঢাকা পোশাক
চুলে, ত্বকে ভাল করে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখা
চুল শক্ত করে বেঁধে সুতির কাপড়ে ঢেকে নিন
রং খেলার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম মাখুন। ‘এসপিএফ ৩০’র সানস্ক্রিন মাখলেও ভাল
নখে ঘন করে নেলপালিশ। এতে রং বসবে না
দোলের আগে ফেশিয়াল বা ব্লিচ না করাই ভাল।
রং খেলার সময় ত্বক যেন শুকিয়ে না যায়। ভেজা ভাব থাকে। দরকার হলে ভিজে টিস্যু রাখুন
রং তুলতে সাবানের বদলে ক্লিনজিং মিল্ক বা টক দই ব্যবহার করুন। নারকেল তেলও চলবে
স্নানের পর অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার মাখুন
চোখে রাসায়নিক রং গেলে জল বা গোলাপ জলের ঝাপটা দিন
যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্রেতাদের কাছে এখনও বাঁদুরে রঙের চাহিদা রয়ছে। আর তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পরিবেশ প্রেমীদের। তাঁদের দাবি, শিল্পশহরে দূষণের জেরে এমনিতেই নাজেহাল মানুষ। তার উপর দোলে এই সব রং ব্যবহার হলে চর্মরোগ বাড়তে পারে। তা ছাড়া দোলের সময় এই সব রঙের হাত থেকে কুকর, বিড়ালও রেহাই পায় না। অথচ এ সব ওদের পক্ষেও ক্ষতিকর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ ব্যাপারে হলদিয়ার মহকুমা শাসক কুহুক ভূষণ বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে দোল উৎসব উদযাপন করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বিভিন্ন রঙের ক্ষতিকারর দিক নিয়েও মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy