সোমবার নিউদিঘার সৈকতে। নিজস্ব চিত্র
চলছে পুজোর ছুটি। সরকারি দফতর থেকে স্কুল, কলেজ এখন বন্ধ। ফলে দিঘায় এখন পর্যটকের ঢল। শঙ্করপুর, মন্দারমণি এবং তাজপুরেও একই চিত্র। পর্যটকদের এমন জোয়ারে হোটেল মালিকদের পৌষমাস। ভিড়ের মরসুমে যাতে হোটেলের ঘর যাতে চড়া দামে ‘ব্ল্যাক’ না হয়, সে জন্য বাড়তি সতর্ক দিঘার হোটেল মালিকদের সংগঠন।
তিতলির প্রভাব সরে যেতেই, ষষ্ঠীর দিন থেকে দিঘায় ফের পর্যটকের ঢল নেমেছে। অধিকাংশ হোটেলে এখন ঝুলছে ‘নো রুম’ লেখা বোর্ড। ‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সূত্রের খবর, অধিকাংশ রুম এখন পর্যটকে ভর্তি। সংগঠনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “ভিড়ের এই ধারা চলবে একেবারে কালী পূজা পর্যন্ত। তবে এখন যাতে হোটেলের রুম ব্ল্যাক না হয়, সে নিয়ে আমরা বিশেষ নজর রেখেছি।’’
এক হোটেল মালিকের কথায়, “এবার পুজোয় অন্য বারের তুলনায় অবাঙালি পর্যটক দিঘায় বেশি এসেছেন। তাছাড়া অনলাইনে হোটেল বুকিং হওয়ায় পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে।’’ কলকাতার বাগবাজার থেকে দিঘায় বেড়াতে আসা সোনালী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখন দিঘায় বেশ ভিড় দেখছি। কিন্তু আগের চেয়ে দিঘা আরও সুন্দরী হয়ে উঠেছে। পুলিশি নজরদারি বেড়েছে।’’
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিম্নচাপের বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোন সতর্কতা নেই। ফলে সমুদ্র স্নানের ক্ষেত্রেও নিয়ম অনেকটা শিথিল। এতে খুশি পর্যটকেরাও। তবে সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। সৈকতে ও গোটা দিঘার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এবার পর্যটকদের বাস ও ছোট গাড়ি প্রচুর এসেছে দিঘায়। তাই ট্রাফিক ব্যবস্থা ও পার্কিংয়ের উপর বেশি জোর দিয়েছে পুলিশ।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিও এবার পুলিশ মাথায় রাখছে। কালী পুজো পর্যন্ত এই ভিড় থাকবে। তাই ততদিন পর্যন্ত এই আটোসাটো নিরাপত্তা থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy