Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ষষ্ঠীর সকালেই জনজোয়ার

ভিড়ের লড়াইয়ে জিততে তিতলিকে হারাতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। ষষ্ঠীর দিনই অবশ্য মুখে হাসি সকলের। সোমবার থেকেই পুজোর মেজাজ রেলশহরে।

দেবমাল্য বাগচী
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮ ০১:১৬
Share: Save:

ভিড়ের লড়াইয়ে জিততে তিতলিকে হারাতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। ষষ্ঠীর দিনই অবশ্য মুখে হাসি সকলের। সোমবার থেকেই পুজোর মেজাজ রেলশহরে।

শিক্ষা থেকে সমাজ সচেতনতা তো আছেই, শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য সেজে উঠেছে অনেক মণ্ডপ। বোগদায় স্টেশন সংলগ্ন বাবুলাইন সর্বজনীন ও পুরনো মালঞ্চ শক্তি সঙ্ঘ এ বার মণ্ডপ সাজিয়েছে পেন, বই, খাতা, পেন্সিল-সহ নানা শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে। প্রেমবাজার সর্বজনীন, মালঞ্চ বিবেকানন্দ পল্লি, আদিপুজো কমিটির মণ্ডপে উঠে এসেছে পরিবেশ, কন্যাভ্রূণ হত্যা, বাস্তুতন্ত্র-সহ নানা থিম। এ ছাড়াও শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য তালবাগিচা সুকান্তনগর সর্বজনীনের ‘জঙ্গল বুক’ ও নেতাজি ব্যায়ামাগারের ‘হ্যারি পটার’ থিমও দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে।

এ বার পুজোয় একমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থার পাশাপাশি মণ্ডপের প্রায় আধ কিলোমিটার দূরেই যান নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। দর্শনার্থীদের সুবিধায় আগে থেকেই গাইড ম্যাপ তৈরি করে পুলিশ শহরের বিভিন্ন অংশে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পুজোয় ঘুরতে বেরিয়ে দূরে গাড়ি রাখতে হওয়ায় অনেকেই নাজেহালও হচ্ছেন। তাই এ দিন আগেভাগে দুপুরবেলাতেই ভিড় জমেছিল মণ্ডপে মণ্ডপে। এ দিনই সন্ধ্যায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন মনীষ চক্রবর্তী ও অমৃতা ঘোষ। তাঁদের কথায়, “সত্যি বলতে পুজোর চার দিন যে ভাবে পুলিশ মণ্ডপের বহু দূরে যান নিয়ন্ত্রণ করছে। তাতে ঘুরে-ঘুরে মণ্ডপ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। তাই এ বার একটা মণ্ডপে বসেই আড্ডা চলবে।” এ দিন মেদিনীপুর থেকে সপরিবার খড়্গপুরে ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন বিশ্বজিৎ আচার্য। তিনি বলেন, “চার দিন যা পরিস্থিতি হয় তাতে গাড়িতে-বাইকে ঠাকুর দেখা খুব সমস্যার। তাই পঞ্চমীর সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে ঘুরেছি। আর ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এসেছি খড়্গপুর।”

ভিড় সামলাতে অনেক পুজো উদ্যোক্তা নিরাপত্তারক্ষীও রেখেছেন। বিবেকানন্দ পুজো কমিটির কর্মকর্তা শৈবাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখন তো আমাদের ষষ্ঠী থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে হচ্ছে। প্রয়োজন বুঝে আমরা নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করেছি।” প্রেমবাজার পুজো কমিটির সম্পাদক চিরঞ্জিত রায় বলেন, “ষষ্ঠীর সকাল থেকেই তো ভিড় বাড়ছে। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ২৭ জন নিরাপত্তারক্ষীকে মণ্ডপ চত্ত্বর দেখভাল ও যান নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগিয়েছে। দর্শনার্থীদের পুজোর আনন্দ উপহার দেওয়ার দায়িত্ব তো আমাদেরই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja Durga Puja 2018 Kharagpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE