গ্রেফতারের পরে বেআইনি ওষুধের কারবারি বুদ্ধদেব। নিজস্ব চিত্র
প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ ছিল, লাইসেন্স ছাড়াই খেজুরির মোহাটিতে ওষুধের দোকান চালাচ্ছে বুদ্ধদেব দাস। তাকে গ্রেফতারের পরে এ বার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি) এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের সন্দেহ, বেআইনি ওই দোকানে জাল ওষুধের রমরমা কারবার চালাত বুদ্ধদেব।
বৃহস্পতিবার রাজ্য এনফোর্সমেন্ট দফতর ও জেলা ড্রাগ কন্ট্রোলের ২৫জন
আধিকারিকের যৌথ দল অভিযান চালিয়ে মোহাটি বাজারের ওই ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেয়। সিল করা হয়েছে
গুদাম। বৃহস্পতিবারই বুদ্ধদেবের বিরুদ্ধে খেজুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জেলার ড্রাগ কন্ট্রোলার। তারপর গ্রেফতার করা হয় বুদ্ধদেবকে। শুক্রবার কাঁথি আদালত তাকে এক দিনের জেল হেফাজতে পাঠায়। আজ, শনিবার ফের মামলার শুনানি হবে।
বুদ্ধদেবের দোকান ও গুদাম থেকে লক্ষাধিক টাকার ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। সেই ওষুধ জাল বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের সহকারী ড্রাগ কন্ট্রোলার উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওষুধের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতার বেলেঘাটায় স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে ওই ওষুধ জাল কি না।’’
ক’দিন আগেই নকল ওষুধ চক্রের হদিস মিলেছে হুগলির শ্রীরামপুরে। সেখানে এক ডিস্ট্রিবিউটারের কাউন্টারে হানা দিয়ে নকল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে ইবি ও হুগলির ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। সম্প্রতি কলকাতার বড় বাজারেও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের কারবারের নজির মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে খেজুরির দোকানে জাল ওষুধের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মোহাটি বাজারের দোকানে কোত্থেকে ওষুধ আসত, কারা তা সরবরাহ করত, এর পেছনে কোনও চক্র রয়েছে কিনা— খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে খবর, যে সব ওষুধ পাওয়া গিয়েছে, তা বেচা-কেনার কোনও উপযুক্ত রশিদ বা চালান মেলেনি।
মোহাটি বাজারে ব্যস্ত এলাকায় ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন ছাড়াই দিব্যি
ওষুধের দোকান চালাচ্ছিল হাতুড়ে ডাক্তার বুদ্ধদেব। তদন্তকারীদের অনুমান, এই দোকান থেকে নকল বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ জেলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy