বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মেচেদা বাসস্ট্যান্ডের ছবি। ছবি: আনন্দ মণ্ডল
জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে প্রভাব পড়লেও বুধবারের বন্ধে স্বাভাবিক রইল শিল্প শহর।
কংগ্রেসের পদযাত্রা, বিজেপি’র বন্ধ এবং তৃণমূলের বন্ধ বিরোধী মিছিল— এই তিন ঘটনা নিয়ে এ দিন নজরে ছিল হলদিয়া। আশঙ্কা ছিল উত্তেজনা ছড়ানোরও। কিন্তু এ দিন ভোর ৬টা থেকেই হলদিয়া শহর এবং আশেপাশের এলাকা ছিল পুরোপুরি স্বাভাবিক। টাউনশিপ হলদিয়া থেকে মেদিনীপুর, তারকেশ্বর, ঘাটাল-সহ দূরপাল্লার বেশিরভাগ বাস সময় মেনে চলেছে। তবে হলদিয়া থেকে মেচেদা ভায়া তমলুক রুটে সাময়িক বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল।
পুরসভা, মহকুমাশাসক দফতর, মহকুমা আদালত, বন্দর-সহ সব প্রশাসনিক দফতরে কর্মচারীদের হাজিরা ছিল একশ শতাংশ। আইওসি, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট, এক্সাইড, টাটা গোষ্ঠীর সব কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি বলে কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে। আইএনটিটিইউসি’র জেলা কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার বলেন, ‘‘বিজেপি কোনও বাধা বা পিকেটিং ছিল না। তাই অবাধে সব কারখানাতে কর্মীরা গিয়েছেন। কোনও শ্রম দিবস নষ্ট হয়নি।’’ এদিন হলদিয়া পুরসভার সার্বিক উন্নয়ন সংক্রান্ত পুর পারিষদদের একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে চেয়ারম্যান শ্যামল আদক, ভাইস চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল প্রমুখ।
বনধের সমর্থনে কোথাও বিজেপি কর্মীদের রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। উল্টে হলদিয়া সচল রাখার দাবিতে সিটি সেন্টার থেকে গাঁধী নগর হয়ে মহকুমাশাসক দফতর পর্যন্ত একটি করেন তৃণমূল কর্মীরা। ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেন হলদিয়া পুরসভার তিন পুর পারিষদ আজিজুল রহমান, স্বপন নস্কর ও বিকাশ জানা।
বন্ধ উপেক্ষা করে দূরপাল্লার বাস চালানোয় ব্রজলালচকে পরিবহণ কর্মীদের গাড়ি থামিয়ে গোলাপ ফুল ও চকলেট দেওয়া হয়। স্থানীয় চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শাসক দল ওই ‘গাঁধীগিরি’ করে। ফেরির ক্ষেত্রের টাউনশীপ থেকে নন্দীগ্রাম রুটে পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। ভাটার জন্য সকালে প্রথম খেয়া না চললেও সাড়ে ৬টা থেকে ফেরি চলেছে নিয়মিত। কেন্দেমারি ঘাটে মোতায়েন ছিল পুলিশও। এদিন তেরাপেক্ষ্যা– নন্দীগ্রাম, বালুঘাটা–নন্দীগ্রাম-সহ প্রায় সব খেয়ায় চলেছে নিয়ম করে। কুঁকড়াহাটি–রায়চক ফেরিতে যাত্রী সংখ্যা কম হলেও ফেরি নিয়মিত ছিল বলে প্রশাসনের দাবি।
নন্দীগ্রামের একটি আইটিআই কলেজের শিক্ষক দেবপ্রসাদ মহাপাত্র বলেন, ‘‘সকালে ঘাটে গিয়ে দেখি ফেরি চলছে। কাজের পৌঁছতে পেরে খুশি।’’ শাসক দলের তরফে আজিজুল রহমানের বক্তব্য, ‘‘বনধের রাজনীতি হলদিয়ার মানুষ বরদাস্ত করেন না। এদিন তার প্রমাণ মিলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy