ক্যাম্পাসে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
এক ছাত্রীকে কুরুচিকর ইঙ্গিত করেছেন এক অধ্যাপক। সাড়া না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও নাকি দিয়েছেন।
এমনই অভিযোগে শোরগোল পড়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পোস্টারও সাঁটিয়েছেন একাংশ ছাত্রছাত্রী। সোমবার অভিযোগ হওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টারনাল কমপ্লেন সেল’ (আইসিসি)-কে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী মানছেন, ‘‘এক অধ্যাপকের নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখতে আইসিসি-কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, নিয়মমতো সেল তার তদন্ত রিপোর্ট প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে পেশ করবে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কর্মসমিতি।
অভিযোগকারী ছাত্রী ও অভিযুক্ত অধ্যাপক দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের। তদন্তের প্রয়োজনে ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলতে পারে আইসিসি। অভিযুক্ত অধ্যাপকের সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা হতে পারে। ঠিক কী হয়েছে তা জানার চেষ্টা হবে। অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একাংশ ছাত্রছাত্রী। ক্যাম্পাসে পোস্টার সাঁটিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। কোনও পোস্টারে লেখা, ‘ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রী নিগ্রহ আর চলবে না’, ‘আমাদের ঐক্য নষ্ট করা চলবে না’।
কয়েক মাস আগে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক ছাত্রী তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন। ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন ওই বিভাগেরই এক অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রের খবর, পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক অভিযুক্ত অধ্যাপককে ছুটিতে পাঠানো হতে পারে। তিনি যাতে কোনও ভাবেই আইসিসি-র তদন্তকে প্রভাবিত করতে না পারেন সে জন্যই ওই পদক্ষেপ করা হতে পারে। অভিযুক্ত অধ্যাপকের দাবি, ওই ছাত্রী মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি কখনও কোনও কুরুচিকর ইঙ্গিত করেননি। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেননি। মঙ্গলবার অভিযুক্ত অধ্যাপককে তলব করেছিল আইসিসি। ওই অধ্যাপক মানছেন, ‘‘তদন্ত কমিটি ডেকেছিল। আমি গিয়েছিলাম। আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তদন্ত কমিটিকে সবটা জানিয়েছি।’’
অভিযুক্ত ছাত্রীরও বক্তব্য শুনেছে আইসিসি। ওই ছাত্রী মানছেন, ‘‘তদন্ত কমিটি ডেকেছিল। সব জানিয়েছি। আমি বিচার চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy