প্রতীকী ছবি।
‘অবাধ্য’ বাইকে লাগাম পড়াতে ক্যামেরা বসছে রেলশহরে!
৬০, ৭০, ৮০, ৯০… রাত যত বাড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বাইকের গতি! নিয়ন্ত্রণহীন বাইক থেকে বাঁচতে নাজেহাল হন পথচলতি মানুষেরা। শুধু রাতে নয়, বিপদ দিনেও। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে লাগাতার প্রচারের পরেও হুঁশ ফেরেনি। রাস্তায় বাইক দাঁড় করিয়ে জরিমানা করেও বদলায়নি ছবিটা। এ বার তাই আরও কড়া হচ্ছে পুলিশ।
ঠিক হয়েছে, খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। রাস্তা অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া হবে গাড়ি-বাইকের গতি। গাড়ি বা বাইকের গতি ওই নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে তার নম্বর প্লেট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে স্ক্যান হয়ে যাবে নজর ক্যামেরায়। তার পরে পরিবহণ দফতরের নথি অনুযায়ী ওই গাড়ি বা বাইকের মালিকের নামে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জরিমানা আদায় করা হবে। ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই শুরু হবে কাজ। প্রথম পর্যায়ে মূলত শহরের ইন্দার ওটি রোডে ও আইআইটি উড়ালপুলে ক্যামেরা বসানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বছর দু’তিন ধরেই রেলশহরের রাস্তায় নিয়ন্ত্রণহীন বাইকের সংখ্যা বেড়েছে। মালঞ্চ রোড, ইন্দার ওটি রোড, আইআইটি উড়ালপুল, ঝাপেটাপুর-কেশিয়াড়ি রাস্তাতেও দাপট বাড়ছে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি-বাইকের। ইন্দার ওটি রোড ও আইআইটি উড়ালপুলেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সঙ্কীর্ণ মালঞ্চ রোডেও বেপরোয়া বাইক চালকদের দাপটে আকছার দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধু দ্রুত গতিই নয়, একই বাইকে তিন-চারজন উঠে পড়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার মাত্রাও।
খরিদার বাসিন্দা এক কলেজ ছাত্রীর কথায়, “পুলিশ শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে হেলমেট পরীক্ষা করে। কিন্তু কেউ যদি হেলমেট পড়ে বেপরোয়া বাইক চালিয়ে কাউকে ধাক্কা মারে তবে সেটা কী অপরাধ নয়।’’ ইন্দার বাসিন্দা রেল আধিকারিক অনুপম পালোধীও বলছেন, “এখন তো ইন্দা কমলাকেবিন থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণহীন বাইক ছুটতে দেখি। বাইক চালকদের প্রায় সকলেই কমবয়সী যুবক। বাইকের গতি এত বেশি থাকে যে তাঁদের ধরাও মুশকিল। পুলিশ এ ব্যপারে উদ্যোগী হলে খুব ভাল।’’ একইসঙ্গে, তাঁর সংযোজন, ‘‘একাংশ যুবক গলিপথেও বাইক নিয়ে রেস করছে। পুলিশ নজর দিক।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত শহরের খড়্গপুর কলেজ সংলগ্ন ইন্দা ওটি রোডে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। এ ছাড়াও আইআইটি উড়ালপুলে বসানো হবে ক্যামেরা। সবমিলিয়ে প্রায় ৬৬টি নজর ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “শহরের পথে বেপরোয়া বাইক-গাড়ি চালকদের ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এ বার ক্যামেরা বসিয়ে সরাসরি গাড়ি ও বাইকের নম্বর প্লেট স্ক্যান করে জরিমানার নোটিস বাড়িতে পাঠানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy