৭৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা মেটিয়ে দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তহবিলে টাকা নেই অজুহাতে ‘কোলাঘাট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এমপ্লয়মেন্ট’ কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সাল থেকে মহার্ঘ্য ভাতা মেটাননি। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা। ২৫ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক বকেয়া ভাতা মেটানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সত্য গোপন করে আদালতকে বিপথে চালানোর জন্য কলেজের ডিরেক্টর নগেন্দ্রনাথ জানাকে সতর্কও করেছেন ওই বিচারপতি।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বৃহস্পতিবার জানান, নিয়োগের বিজ্ঞাপনে কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে ওই ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলার আবেদনে জানানো হয়, ওই কলেজ সরকারি সাহায্যও পেয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও প্রতিশ্রুতি মতো মহার্ঘ্য ভাতা মেটানো হচ্ছে না।
শুনানিতে কর্তৃপক্ষ জানান, কলেজ তৈরির জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ থেকে নেওয়া ঋণ মেটানোর চাপ, কলেজের নতুন ভবন তৈরির জন্য অর্থের ব্যবস্থা করা ইত্যাদির কারণে এখনই ওই ভাতা মেটানোর তহবিল নেই। সেই কারণে, কেন্দ্রের কাছ থেকে পুরো বরাদ্দ মিলছে না। এক্রামুল বারি অবশ্য আদালতকে জানান, কলেজ তৈরির জন্য ৯ কোটি ১৪ লক্ষ ঋণ নেওয়া হয়। সেই ঋণের অর্ধেক মকুব করা সত্ত্বেও মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া
হচ্ছে না।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হল, যখন সামর্থ হবে তখন মহার্ঘ্য ভাতা মেটানো হবে। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্য আদালত গ্রহণ করছে না। হলফনামায় কলেজ কর্তৃপক্ষ যা জানিয়েছেন, তার সঙ্গে নথির মিল নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে বসে এমন হলফনামা তিনি পেশ করতে পারেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy