সাজা ঘোষণার পর। নিজস্ব চিত্র
দশ বছরের এক বালককে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক ব্যক্তির।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট) অপূর্বকুমার ঘোষ বিহারের যোগিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আলমকে এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া থানার শিমুলহান্ডা গ্রামের একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বিহারের বাসিন্দা ফিরোজ আলম। ওই মসজিদের সংলগ্ন একটি পরিবারের এক মহিলার সঙ্গে ফিরোজের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। ওই মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকতেন। কিন্তু তাঁদের ছেলে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া ১০ বছরের ছেলে শেখ ফারহাদ মায়ের সঙ্গে ফিরোজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল। আর এরপরেই ফিরোজ ওই নাবালককে খুন করে। গত ২০১৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে খেলতে গিয়ে ওই বালক নিখোঁজ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরদিন সকালে মসজিদের পাশের একটি খাল থেকে শেখ ফারহাদের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পরেই পাঁশকুড়া থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ফিরোজ।
ফারহাদের বাবার অভিযোগ পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ তদন্তে নামে। ফারহাদকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত চালিয়ে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রায় আড়াই মাস পরে ২০১৪ সালের ১২ মার্চ পাঁশকুড়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে ফিরোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ফিরোজ ওই নাবালককে শ্বাসরোধ করে খুনের পর বস্তাবন্দি করে খালের জলে ফেলে দিয়েছিল। মায়ের সঙ্গে ফিরোজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জেনে যাওয়াতেই তাকে খুন করে বলে ফিরোজ স্বীকার করে।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী সৌমেন দত্ত জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের ( ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট ) এজলাসে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনানির পর বিচারক খুন ও প্রমাণ লোপাটের দায়ে ফিরোজ আলমকে দোষী সাব্যস্ত করেন ও ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ফিরোজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy