উড়ালপুলে কাউন্সিলররা। নিজস্ব চিত্র
উড়ালপুল সাফ করতে ঝাঁটা ধরলেন ঝাড়গ্রাম পুরসভার কাউন্সিলরাই। এলাকার কিছু মহিলাও এগিয়ে এলেন সাফাই অভিযানে।
শনিবার সকালে পরিষ্কার করা হল ঝাড়গ্রামের উড়ালপুল। ৪২৩ মিটার লম্বা উড়ালপুলের দু’পাশের রেলিং সাবান জলে পরিষ্কার করার কাজ চলল ঘণ্টা চারেক ধরে। তবে এ দিন সবটা সাফ করা যায়নি। আরও কয়েক দিন চলবে অভিযান। পুরসভার উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন পুরবাসী।
তবে প্রশ্নও উঠেছে, কেন কাউন্সলরদের পথে নামতে হল?
পুরসভার নিয়মিত সাফাই কর্মসূচি ও নজরদারির অভাবেই দিনে দিনে পর্যটনের মরসুমে অরণ্যশহর আরও অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ। পুরসভা সূত্রের দাবি, ‘ডি’ ক্যাটাগরির পুরসভার স্থায়ী সাফাই কর্মীর সংখ্যা মাত্র আট জন। অস্থায়ী কর্মী আছেন আরও জনা বিশেক। ১৮টি ওয়ার্ডের মোট ২২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পরিষ্কার করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় সাফাই কর্মীদের। উড়ালপুলের জন্য আলাদা কর্মীও নেই।
শাসকদলের অন্দরের খবর, পুজোর সময় ঝাড়গ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় চারপাশের নোংরা ও পান-গুটখান পিকের ছোপ দেখে বিস্মিত হন বিমানবাবু। বিষয়টি জানতে পেরে অস্বস্তিতে পড়েন পুর-কর্তৃপক্ষ। তারপরও অবশ্য উড়ালপুল সাফ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই সময় লাগল। উড়ালপুলটি ৯ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকায় রয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবিতা ঘোষ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঘনশ্যাম সিংহ এদিন ঝাঁটা হাতে উড়ালপুল সাফ করতে পুরোভাগে ছিলেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্লোল তপাদার এবং জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বংশীধর জানা ও কর্মী পিনাকী মিত্ররাও ছিলেন। কাউন্সিলররা বলছেন, “নিজের শহর পরিষ্কার রাখতে পুরবাসীদেরও সচেতন হতে হবে। পথে নেমে সেই বার্তাই নিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy