Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পদ্ম-যোগ, মহাশিসের বহিষ্কার চেয়ে আলিমুদ্দিনে

সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে বলেন, ‘‘মহাশিসকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অবিলম্বে উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি চিঠির জবাব দেননি।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানিকপাড়া শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:৪০
Share: Save:

দলের কোনও সদস্য বা নেতা বিজেপি বা তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে। সাফ জানিয়েছিলেন, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বিজেপির ক্ষমতাসীন মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হয়েছেন সিপিএমের মহাশিস মাহাতো। তাই এ বার মহাশিসকে দল থেকে দল থেকে তাড়ানোর জন্য আলিমুদ্দিনের অনুমোদন চাইল ঝাড়গ্রাম জেলা সিপিএম।

সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে বলেন, ‘‘মহাশিসকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অবিলম্বে উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি চিঠির জবাব দেননি। উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফাও দেননি। সেই কারণে জেলা কমিটির বৈঠকে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি রাজ্য কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।” সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মহাশিসের অবশ্য দাবি, তিনি ভুল কিছু করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সিপিএমের একনিষ্ঠ কর্মী। মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। যা করেছি তা মানুষের আবেগকে মর্যাদা দিতেই করেছি।” এরই মধ্যে সিপিএম নেতাকে বিজেপি প্রস্তাব দিয়েছে। বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, “মহাশিসবাবু আমাদের দলের ক্ষমতাসীন মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে আমরা সব সময়ই স্বাগত জানাব।”

সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যের পাশাপাশি মহাশিস সিটুর জেলা সম্পাদকও। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডিহা বুথে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়ে জয়ী হন তিনি। শুধু জয়ীই নয়, মহাশিস হয়ে ওঠেন ‘কিং মেকার’। কারণ, মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। বাকি সাতটি আসন পায় বিজেপি। মহাশিসের সমর্থনে পঞ্চায়েতের বোর্ড দখল করে বিজেপি। প্রধান পদটি তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় প্রধান হন বিজেপি-র কল্যাণী মুদি। বিজেপিকে সমর্থনের পুরস্কার হিসাবে উপপ্রধান পদটি পান মহাশিস।

ঘনিষ্ঠ মহলে মহাশিস দাবি করেছেন, তাঁর উজ্জ্বল ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির জন্যই তাঁকে দেখেই ভোট দিয়েছিলেন ভোটাররা। সিপিএম প্রার্থী হিসেবে নয়। যদিও সিপিএম জেলা সম্পাদকের সাফ কথা, ‘‘সিপিএমে ব্যক্তি বলে কিছু হয় না। কেউই দলের ঊর্ধ্বে নন। মহাশিসকে অনেক বোঝানো হয়েছে, ভাবার জন্য অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কথা শোনেননি।”

দুঃসময়ে যিনি দলের মান রাখলেন, তাঁকেই বহিষ্কার? এক সিপিএম নেতার জবাব, ‘‘নীতির সঙ্গে আপস করে মান রাখা যায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Jhargram BJP Sack
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE