কেশিয়াড়ি বাজারে লিফলেট দিচ্ছেন মলয় (সাদা জামা)। নিজস্ব চিত্র
হিংসা নয়, শান্তি চাই।
ঘরে ঘরে এই বার্তা পৌঁছে দিতে লিফলেট ছাপিয়ে দোরে দোরে পৌঁছে যাচ্ছেন মলয়কুমার দাস। লক্ষ্য একটাই, ভোটের পরেও লাগাতার চলা রাজনৈতিক হিংসায় যদি দাঁড়ি টানা যায়।
কেশিয়াড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নের মলয় পেশায় মুদি দোকানি। তবে বছরভর নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকেন তিনি। লেখালেখি করেন, পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে ক্রেতাদের চটের ব্যাগ উপহার দেন। তাঁর মুদি দোকানের নামও ‘শেষের কবিতা’। আগে ‘কাগজের সেতু’ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন মলয়। এখন অবশ্য সেটি বন্ধ। তবে থেমে নেই মলয়। এ বার তিনি রাস্তায় নেমেছেন রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে।
লোকসভা ভোটের সময় থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেও থামেনি সেই প্রবণতা। এমন অস্থির সময়ে লিফলেট বিলি করে মলয় মনে করাচ্ছেন, ‘দেখে নেব— এই কথাটি কি রাজনৈতিক জীবন থেকে বাদ দেওয়া যায় না? না দিলে রাজনৈতিক হিংসায় অনেক মায়ের কোল খালি হয়।’ লিফলেটের একেবারে ওপরে লেখা, ‘ভয়েস ফর গ্রিন আর্থ’। তাঁর আহ্বান — ‘আর কোনও রাজনৈতিক হিংসা নয়।’ ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের সময় তৃণমূলের স্লোগান ছিল, ‘বদলা নয়, বদল চাই।’ তারপরেও নানা জায়গায় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের মারধর, পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে রাজ্যে উত্থান হয়েছে বিজেপি-র। তারপর বিভিন্ন এলাকায় ‘আক্রান্ত’ তৃণমূল। পার্টি অফিস ভাঙচুরের ট্র্যাডিশনও ফিরেছে। হিংসায় তপ্ত হয়েছে কেশিয়াড়ির মাটিও।
এমন অবস্থায় এই লিফলেট এক ঝলক মলয় বাতাস। মলয় নিজেও বলছেন, ‘‘সুন্দর সমাজ গড়তে একটু প্রয়াস চাই। খুনোখুনির রাজনীতি বন্ধের গুরুত্বটা বুঝতে হবে। বুঝতে হবে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, তবে উলুখাগড়া কিন্তু বাঁচতেই চায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy