বৈঠকের পথে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র
এক মাস ১০ দিন পরে অসমাপ্ত বৈঠক শেষ করতে রেলশহরে এলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ওয়ার্ড প্রতিনিধিদের নিয়ে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু রবিবার সন্ধ্যায় বসেছিলেন খড়্গপুর পুরভবনের সভাগৃহে। রাত পর্যন্ত চলে বৈঠক। গত ১৬ জুন ওয়ার্ড প্রতিনিধিদের এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ইন্টারভিউয়ের কায়দায় সেই বৈঠকের তাল কাটে গোষ্ঠী কোন্দলে। কাউন্সিলদের বিরোধী গোষ্ঠী পৃথক তালিকা দিয়ে বৈঠকে যাওয়ার দাবি জানালে বচসা বাধে। পরে দুই গোষ্ঠী থেকেই ৫ জন করে ১০ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গোলমালের জেরে রাত হয়ে যাওয়ায় সে দিন বৈঠক অসমাপ্ত রেখেই ফিরেছিলেন শুভেন্দু। ২৪ জুন বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি।
অবশেষে এ দিন সেই বৈঠক হয়েছে। তবে উৎসাহ ছিল কম। কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা আসেননি। বাকি ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিকে নিয়ে এ দিন বৈঠকের কথা ছিল। তবে আসেননি ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুর পারিষদ বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বেলারানি অধিকারীকে। কয়েকমাস ধরেই তাঁকে তৃণমূলের কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না বলে খবর। পারিবারিক কাজে বাইরে থাকবেন বলে আগেই তৃণমূলের শহর সভাপতিকে জানিয়ে বৈঠকে আসেননি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনিতা গুপ্তও।
যাঁরা ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরাও সন্তুষ্ট হতে পারেননি বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। বৈঠকে শহরের চার নেতা প্রদীপ সরকার, রবিশঙ্কর পাণ্ডে, দেবাশিস চৌধুরীর, জহরলাল পাল বসে থাকায় মন খুলে কথা বলতে পারেননি কাউন্সিলর ও কর্মীরা। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক কর্মী বলেন, ‘‘অনেক কথাই তো বলার ছিল। কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে বলব তিনিই তো বৈঠকে উপস্থিত। তাই সাধারণ কথা বলে চলে আসতে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy