Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কর্মীদের কাছে দিলীপ চান দলের জন্য দেড় মাস

কর্মীদের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘এই দেড় মাস দলের কাজ করুন, দেশের কাজ করুন!’’ মেদিনীপুরে প্রথম কর্মিসভায় এসে এই আর্জিই জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরের এক সভাঘরে এই কর্মিসভা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০০:০৫
Share: Save:

দলের কর্মীদের কাছে শুধু দেড় মাস সময় চাইলেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। কর্মীদের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘এই দেড় মাস দলের কাজ করুন, দেশের কাজ করুন!’’ মেদিনীপুরে প্রথম কর্মিসভায় এসে এই আর্জিই জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরের এক সভাঘরে এই কর্মিসভা হয়।

গত বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা হয়। দিলীপ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা খড়্গপুরের বিধায়ক। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার দিনে তিনি খড়্গপুরেই ছিলেন। শুক্রবার মেদিনীপুরে আসেন। ওই সন্ধ্যায় মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানে ছিলেন মেদিনীপুর শহর পূর্ব, মেদিনীপুর শহর পশ্চিম, শালবনি দক্ষিণ এবং মেদিনীপুর গ্রামীণ পশ্চিম—এই চারটি মন্ডলের সভাপতি, সংশ্লিষ্ট এলাকার বুথ সভাপতি, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখদের নিয়েই এই বৈঠক হয়েছে। বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয় কয়েকটি বুথ নিয়ে একটি শক্তিকেন্দ্র রয়েছে।

দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি ওই বৈঠকে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ-সহ দলের জেলা নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, শুরুতে কোন এলাকার কি পরিস্থিতি সে সম্পর্কে জেনে নেন বিজেপির জেলা সভাপতি। কোথায় দেওয়াল লিখন হয়েছে, কোথায় বাড়ি বাড়ি প্রচার হয়েছে, এ সবের খোঁজ নেন তিনি। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। এরপরে দিলীপ বুঝিয়ে দেন, কর্মীরা ভাল ভাবে কাজ করলে তাঁর জয় নিশ্চিত। বিজেপির এক সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকে মেদিনীপুরের প্রার্থী বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বিধানসভায় আমি খড়্গপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন। জেতার জন্যই লড়েছি। আপনারা অনেকে গিয়ে প্রচার করেছেন। আমি জিতেওছি। লোকসভাতেও জেতার জন্য লড়ছি। আপনারা ভালভাবে কাজ করলে জিতবই।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মেদিনীপুরে ভোট আগামী ১২ মে। হাতে মাস দেড়েকের কিছু বেশি সময় রয়েছে। এই দেড় মাস কর্মীদের দলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, বাড়ির লোকজন জিজ্ঞেস করলে বলুন, এই দেড় মাস দলের কাজ করব। দেশের কাজ করব! সেখানে তিনি দাবি করেছেন, একমাত্র বিজেপির হাতেই দেশ সুরক্ষিত। সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ‘পুঁজি’ করে ‘দেশভক্তির’ প্রচার চালাতে হবে বলেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। পাশাপাশি তাঁর আর্জি, প্রচারে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুফলের কথাও মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে।

দিলীপের প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূলের মানস ভুঁইয়া। বিজেপি কর্মীদের একাংশ মানছেন, লড়াই কঠিন। বিজেপি প্রার্থী অবশ্য জানাচ্ছেন, কোনও লড়াইকেই তিনি কঠিন বলে মনে করেন না। কর্মিসভায় দিলীপকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি শুনেছি, মানস ভুঁইয়াও খোঁজ নিচ্ছিলেন যে মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হবেন কি না। অর্থাৎ, তৃণমূলের কাছে দিলীপ ঘোষ বড় ফ্যাক্টর।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির মুখে দেশভক্তির কথা মানায় না!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE