প্রতীকী ছবি।
ভোটের দিনে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় গাড়ি জোগাড় করতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের। গাড়ির সংস্থান করতে পরিবহণ দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা কেউ ছুটছেন দুর্গাপুর, তো কেউ ছুটছেন আসানসোলে। পড়শি রাজ্য ওড়িশার বালেশ্বর ও ময়ূরভঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও দফায় দফায় কথা বলছে পরিবহণ দফতর। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত গাড়িই মিলছে না।
ঝাড়গ্রাম জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি এখনও পাওয়া যায়নি। পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা ভীষণই চেষ্টা করছেন। ওইদিন আশেপাশের জেলাগুলিতেও ভোট থাকায় গাড়ি পেতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা অন্যান্য জেলা ও পড়শি রাজ্যের জেলাগুলি থেকেও গাড়ি নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করছি।’’
জেলা নির্বাচনী দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ মে ঝাড়গ্রামে ভোট। তার আগের দিন থেকে সব মিলিয়ে প্রয়োজন ১৬০৭টি গাড়ি। এর মধ্যে বড় বাস দরকার ২৩৭টি, মিনিবাস ও মাঝারি গাড়ি ১৮৪টি। ছোট গাড়ি ৯৫৭টি। ট্রাক ও মিনি ট্রাক ৩০টি। পিক আপ ভ্যান ১৯৯টি। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ১৬০৭টি গাড়ি প্রয়োজন হলেও এখনও পর্যন্ত জোগাড় হয়েছে ৮১৭টি গাড়ি। বাকি গাড়ির সংস্থান করতেই ভিন জেলা ও রাজ্যে ছুটছেন পরিবহণ কর্তারা। ওই একই দিনে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভোট। তাই আশেপাশের জেলাগুলি থেকে গাড়ি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই পশ্চিম বর্ধমান ও ওড়িশার বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ থেকে গাড়ি জোগাড় হচ্ছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নির্বাচনী দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পশ্চিম বর্ধমান ও পড়শি রাজ্য ওড়িশার দু’টি জেলা থেকে থেকে কমপক্ষে তিনশোটি গাড়ি পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে। পরিবহণ দফতরের এক কর্মী বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম মেদিনীপুর রুটের বেশ কিছু বাস আগেই পাশের জেলা রিকুইজিশন করে নিয়েছে। তাই কলকাতা-সহ অন্যান্য এলাকা থেকে বাস নিয়ে আসা হচ্ছে।’’ পড়শি রাজ্যের জেলা গুলি গাড়ি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও বড় বাস কতগুলি দিতে পারবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy