Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশ পর্যবেক্ষক দুঁদে আইপিএস 

লোকসভা কেন্দ্রের পুলিশ পর্যবেক্ষকেরা রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করেন। কমিশনের এক সূত্রের মতে, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যেই পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:২০
Share: Save:

পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের পুলিশ পর্যবেক্ষক হয়ে আসছেন মুকেশকুমার সিংহ। নির্বাচন কমিশন মুকেশকে মেদিনীপুর এবং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে প্রকাশ ডি- কে। পুলিশের এক সূত্রে খবর, দু’জনই দুঁদে আইপিএস বলে পরিচিত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৩ এপ্রিলের আগেই জেলায় পৌঁছবেন পুলিশ পর্যবেক্ষকেরা। ১২ মে, অর্থাৎ ভোটের দিন পর্যন্ত তাঁরা জেলায় থাকবেন। নির্বাচন কমিশনের তরফেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুলিশ পর্যবেক্ষকের নাম জেলাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পর্যবেক্ষক জেলায় এসে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নিতে পারেন। তাই তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলা পুলিশে। পুলিশের এক সূত্র জানাচ্ছে, মুকেশকুমার সিংহ ২০০৩ ব্যাচের আইপিএস। অসম- মেঘালয় ক্যাডারের। কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। তিনি বিএসএফের ডিআইজি। আর প্রকাশ ডি ১৯৯৪ ব্যাচের আইপিএস। উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা প্রকাশ সিআরপিএফের আইজি। এক সময়ে ইউনাইটেড নেশন- এও কাজ করেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের পুলিশ পর্যবেক্ষকেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রকাশকে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যে নির্বাচনের কাজে ২৪ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে এই দুই পুলিশ পর্যবেক্ষকও রয়েছেন।

লোকসভা কেন্দ্রের পুলিশ পর্যবেক্ষকেরা রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করেন। কমিশনের এক সূত্রের মতে, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যেই পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে বুথে এসে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করবেন তিনি। ভোটের সময়ে অশান্তি এড়াতে ভোটের আগে জামিন- অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এ জন্য দাগি দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করা হয়। ওই নির্দেশ জেলায় কতটা কার্যকর হয়েছে তাও দেখবেন পুলিশ পর্যবেক্ষক। বেশি পরোয়ানা পড়ে থাকলে তার কারণ সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানাতে হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, পড়ে থাকা জামিন- অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার ব্যাপারে থানাগুলোকে জোর দিতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE