সবে মিলি... নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা উপ-নির্বাচনের কর্মিসভাতেও সুব্রত বক্সী স্পষ্ট করে দিলেন, আসল লক্ষ্য দিল্লি। সেই সঙ্গে দলীয় কোন্দল রুখতেও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি, ‘‘মনে রাখবেন রাজনৈতিক গাছটিকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে না-পারেন তবে কেউ আপনাকে গুরুত্ব দেবে না।’’
বিধানসভা নির্বাচনে এই তমলুক কেন্দ্র থেকেই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে হার হয়েছে তৃণমূলের। পাঁশকুড়া পূর্ব, হলদিয়া এবং তমলুক বিধানসভা কেন্দ্রের সেই হার নিয়ে লজ্জিত পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভায় অল্প ব্যবধানে দু’টি আসন হেরেছি, অন্যটি সামান্য বেশি ভোটে। সময় এসেছে সেই লজ্জা কাটিয়ে ওঠার। নেত্রী আমাদের যতটা ভরসা করেন, তাঁর মূল্য দেওয়ার।’’
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারীর সমর্থনে বুধবার নিমতৌড়িতে কর্মিসভায় সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘দিল্লির রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয়তার শিখরে পৌছানোর চেষ্টা করছেন। দেশ তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের লোকসভার নির্বাচনের দিকে।’’ উপ-নির্বাচন কমিটিতে ময়না ব্লকে দলের পর্যবেক্ষক হিসেবে রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের নাম ঘোষণা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও।
চ্যালেঞ্জ মানসকে। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে সবং কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন মানস ভুঁইয়া। পরে অবশ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মানসবাবু। এ বার সবংয়ের বিধায়ক মানসবাবুকে ফের নির্বাচনে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল সিপিএমের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।
বুধবার সবং হাইস্কুল ময়দানে সমিতির ১৫তম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। সম্মেলনে উপস্থিত মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রূপা বাগচী বলেন, “হিম্মত থাকলে পদত্যাগ করে নির্বাচনে দাঁড়ান। আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। সম্মেলনের জমায়েত প্রমাণ করছে সেই হিম্মত আপনার নেই।” এ বিষয়ে মানসবাবু বলেন, ‘‘রূপা বাগচী আমার নেত্রী নন। উনি সবং চেনেন না। তাই আমি ওনার বক্তব্যের জবাব দেব না, সবংয়ের মানুষই দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy